সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ! ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর অফিস বন্ধ করল প্রশাসন

জম্মু-কাশ্মীরের অন্যতম পুরনো সংবাদপত্র কাশ্মীর টাইমস। সেই সংবাদপত্রের অফিস বন্ধ করে দিল প্রশাসন।

bf5075da77d7713e27b3d2aa9a410d62

শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীরের অন্যতম পুরনো সংবাদপত্র কাশ্মীর টাইমস। সেই সংবাদপত্রের অফিস বন্ধ করে দিল প্রশাসন। এই ঘটনায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ভূস্বর্গে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা বাসিন।

প্রশাসনের সম্পত্তি বিভাগ কাশ্মীর টাইমসের কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনায় অনুরাধা জানিয়েছেন, মত প্রকাশের জন্য প্রতিহিংসার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাঁর অভিযোগ, অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে এই ধরনের কোনো নোটিশ তাদের দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের তরফ থেকে লোকজন হঠাৎ তাদের অফিসে চলে এসে অফিস বন্ধ করে দিতে বলে। সেই সময় তিনি ছাড়াও অফিসের অন্যান্য কর্মীরা কাজ করছিলেন। হঠাৎ করেই তাদের বলা হয় বাইরে বেরিয়ে যেতে, কারণ অফিস সিল করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অনুরাধা দাবি করেছেন, কোনও অফিস বন্ধ করতে গেলে নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করতে হয়। এক্ষেত্রে কোন নিয়ম বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এইভাবে হঠাৎ অফিস বন্ধ করে দিয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। 

মূলত, জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীর টাইমস সংবাদপত্র বেশকিছু সরকারি নীতি এবং কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা শুরু করে। অনুরাধা দাবি করেছেন, এই কারণেই তাদের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। অফিস বন্ধ করে দিয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এর আগে ভূস্বর্গে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা বাসিন। যদিও তিনি বলেন, সংবাদপত্রের কাজ চালু ছিল, কিন্তু বেশ কয়েকজন কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। এখন এইভাবে অফিস বন্ধ করে দিয়ে সংবাদপত্রকেই বন্ধ করে দিতে চাইছে প্রশাসন। তবে এই ভাবে তাদের থামানো যাবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, শ্রীনগরে অবস্থিত কাশ্মীর টাইমসের এই মূল বিল্ডিং অফিস হিসাবে ১৯৯০ সাল থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। অফিস বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের সম্পত্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, তারা অফিস বন্ধ করে দেননি, শুধু তা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং পরে দখল নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *