নয়াদিল্লি: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সতর্কতার জন্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পাশাপাশি বার, রেস্তোরাঁ, হোটেল বন্ধের নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, এই মুহূর্তে বহু রাজ্যে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লক ডাউন। অফিস কাছারি বন্ধের জেরে সমস্যায় পড়ছে ভারতের অর্থনীতি। এদিকে গত শুক্রবার প্রকাশিত শ্রমমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য যে কর্মীদের বেতন না কাটা হয়। অন্য কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থা দেশ জুড়ে। এই অবস্থায় সংবিধানের ৩৬০ ধারা অনুযায়ী অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ হিসেবে তাঁরা যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন, সেগুলি হল:
* রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) ইতিমধ্যেই ওয়ার রুম গঠন করেছে, যার ৯০ জন সদস্য সর্বক্ষণ ভারতীয় অর্থনীতিতে নজর রাখছেন।
* বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজার থেকে তাঁদের টাকা তুলে নিচ্ছেন।
* প্রায় ৮০ শতাংশ ভারতীয় সংস্থা বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে তাদের কর্মীদের। সূত্রের খবর, চাকরিও খুইয়েছেন অনেক কর্মী।
* ব্যাঙ্গালোর, মুম্বই, পুনে, দিল্লি, লখনউ, কানপুর, হায়দরাবাদ, জয়পুর, চেন্নাই, কলকাতা, গুরগাঁও, নয়ডা, আমেদাবাদ, সুরাটের মতো শহরে রয়েছে বহু সংস্থার অফিস। লক ডাউনের ফলে প্রভাব পড়ছে সংস্থাগুলির ওপর।
* করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯-এর প্রভাবে এই পর্যন্ত ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা ৯। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই দেশে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ৪৯২টি।
* হোটেল, রেস্তোরাঁ, নাইট ক্লাব, বিপিও, টুরিজম, অটোমোবাইল সেক্টর বন্ধের ঘোষণা আগেই হয়েছে। যার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ছে।
* একাধিক সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক অনাদায়ী ঋণ সংক্রান্ত কারণে এমনিতেই বিপর্যস্ত।
* ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই), বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) সহ শেয়ার বাজারের ধারাবাহিক পতন প্রভাব ফেলছে অর্থনীতিতে।