নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের উপর ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার খবর কোন রকম প্রভাব ফেলে না। নিত্যদিনের ঘটনা মতই তাদের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার খবর। কিন্তু দেশের অন্যান্য জায়গাতেও কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কত বার? কতবার এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? এই তথ্য জানা নেই তাদেরই! এক কথায়, দেশে কতবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা জানে না কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই।
সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিকে এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছে দিল্লি এবং বিহার সরকারের প্রতিনিধিরা। এই কমিটির প্রধান কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি জানতে চান দেশের বিভিন্ন জায়গায় কতবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবং তাতে কতটা প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও দিল্লি এবং বিহার রাজ্যের বরফের কোন সদুত্তর দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে সঠিক তথ্যই তারা জানে না। এই কারণে, সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি তাদের নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছে এই তথ্যের রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য।
এই তথ্য এমন সময় সামনে এসেছে, যখন ভারত ২৬ দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে, যে দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা অহরহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিগত তিন বছর ধরে এই তালিকায় ক্রমাগত নিচের দিকে নামছে ভারত। সেই প্রেক্ষিতে সরকারের কাছে এই বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অধিকাংশ সময়ই জম্মু-কাশ্মীরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকে, চালু করা হলেও টুজি পরিষেবা চালু করা হয়। যদিও এক্ষেত্রে বহুবার জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। ভূস্বর্গের বেশ কিছু অংশে ইতিমধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু রয়েছেও।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি চলতি বছর দিল্লির দাঙ্গার সময়েও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজধানীতে। এদিকে বাংলাতেও একাধিক কারণে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংশে বেশকিছু দিন বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।