কলকাতা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে মাস্কের আকাশ ছোঁয়া চাহিদা সামাল দিতে মাঠে নেমেছে রাজ্য সরকার।সরকারি সংস্থাকে দিয়ে মাস্ক তৈরি করে চাহিদা সামাল দিতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় বাজারে মাস্ক মিলছে না। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে মাস্কের কালোবাজারি। ন্যায্য দামের থেকে অনেক বেশি দামে দেদার বিকোচ্ছে হরেক কিসিমের মাস্ক। তবে শুধু খোলা বাজার নয়, প্রয়োজনীয় মাস্ক পেতে সমস্যায় পড়েছেন স্বাস্থ্য কর্মীরাও।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও এই সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। তখনই তাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা বঙ্গশ্রী ও তন্তুজকে দেড় লক্ষ মাস্ক তৈরির বরাত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই তা হাতে পাওয়া যাবে । বঙ্গশ্রীকে ৫০ হাজার ও তন্তুজকে ১ লক্ষ মাস্ক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। সেই মাস্ক গুলি যেমন বাজার চলতি মাস্কের থেকে মানের দিক থেকে ভালো হবে তেমনি তার দামও সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যেই হবে। এর কিছু পরিমাণ নানা হাসপাতালে পাঠানো হবে। বাকি মাস্ক তন্তুজের শোরুম থেকে বিক্রি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা রুখতে সর্দি কাশির রোগীদেই মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রাস্তায় সাধারণ মানুষও তা ব্যবহার করছেন।স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা বাড়তেই বাজারে শুরু হয়ে গিয়েছে মাস্ক নিয়ে কালোবাজারি। কার্যত ১০০ টাকার মাস্ক এখন ৩০০-৪০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। বহু জায়গায় তো মিলছেই না মাস্ক। বাজারে এবার সেই মাস্কের জোগান স্বাভাবিক রাখতে সরকারি সংস্থাকে মাস্ক তৈরির নির্দেশ দিয়ে দিল রাজ্য সরকার।