নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে গবেষণার মধ্যে প্রাথমিকভাবে সাফল্যের একধাপ এগিয়ে গেলেন ভারতীয় গবেষকরাও। সাফল্য পেলেন পুনের বিজ্ঞানীরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে যে পুনেতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)-র বিজ্ঞানীরা এই সাফল্য অর্জন করেছেন। এর ফলে কোভিড-১৯ ভাইরাসটির স্ট্রেন পৃথক করা তার স্ক্রিনিং, ড্রাগ সনাক্তকরণ এবং ভ্যাকসিন প্রস্তুতির জন্য কিটস তৈরি করতে গবেষণায় অনেকটাই অগ্রগতি হবে। এপর্যন্ত, আমেরিকা, জাপান, থাইল্যান্ড এবং চীন একমাত্র দেশ যারা এই সাফল্য অর্জন করেছে। এবার এই তালিকায় পঞ্চমস্থানে যুক্ত হল ভারতের নাম।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কেন এই সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ-
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর রমন গঙ্গাভেদকর বলেছেন যে বিজ্ঞানীরা করোনার ভাইরাসের পুরো নমুনা মানব দেহের বাইরে রাখতে সফল হয়েছেন। এটি এই ভাইরাসটির ওষুধ তৈরি এবং পরীক্ষা করা আরও সহজ করে তুলবে, কারণ প্রতিটি ওষুধের পরীক্ষার জন্য সেই ভাইরাসটির প্রয়োজন হয় যার বিরুদ্ধে ড্রাগ তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত,করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কোনও ভ্যাকসিন নেই, আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কোনও ওষুধও নেই। যদিও এইচআইভি ড্রাগ থেকে করোনা প্রতিরোধের একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত নয়।
মঙ্গলবার কলকাতার ১৮বছরের তরুণের পর লেহ-র ৩৪ বছরের এক সেনাকর্মীরর দেহেও করোনা পজিটিভ সনাক্ত করা হয়েছে। এই প্রথম কোনও সেনাকর্মীর দেহে এই সংক্রমণ ধরা পড়ল। ফলে সবমিলিয়ে এপর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৮। তার মধ্যে ২৪ জন বিদেশি। দিল্লি, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে একজন করে মোট তিন জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৪ জন করোনা আক্রান্তকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে।