কলকাতা: অপেক্ষার অবসান৷ সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার বাইপাস সংলগ্ন একটি ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল বিয়ের আসর। লাল টুকটুকে বেনারসি, সোনার গয়না আর কপালে চন্দন এঁকে আদ্যোপান্ত বাঙালি বেশে ধরা দিলেন পর্দার খল নায়িকা৷ সুসম্পন্ন হল শুভ বিবাহ৷ সেই সঙ্গে ছোট পর্দার জাঁদরেল ভিলেন হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়িকা স্মিতা বক্সীর পুত্রবধূ৷
গত কয়েক মাস ধরেই বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল দোরকদমে। অবশেষে ১ মে চার হাত এক হল। স্মিতা বক্সীর ছেলে সৌম্য বক্সীর সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রেম সম্পর্ক ছিল সুদীপ্তার৷ এদিন বরও সেজেছিলেন বাঙালি বেশে৷ মাথায় টোপর আর ধুতি-পাঞ্জাবি পরে বিয়ের আসরে হাজির হন সৌম্য৷
সুদীপ্তার সঙ্গে তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। কিন্তু মাঝে করোনা পরিস্থিতির জন্য তা পিছিয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ফের পরিকল্পনা শুরু করেন দু’জনে। সিনেমার সেটের মতোই সাজানো হয়েছিল বিয়ের মণ্ডপ। মালাবদলের সময় চারিদিকে হল আতশবাজির রোশনাই।
সৌম্য-সুদীপ্তার বিয়ের মেনুতেও ছিল বাঙালিয়ানার ছাপ৷ পোলাও থেকে নানা রকমের মাছ, মাটন— সবই ছিল ভোজের আসরে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন টলিপাড়ার বেশ কিছু চেনা মুখ। সহ-অভিনেতাদের বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পর্দার বেণী বৌদি৷
আজ এত জাঁকজমক করে এলাহিভাবে বিয়ে সারলেন সুদীপ্তা৷ কিন্তু, তাঁর জীবনটা শুরু থেকে এতটাও বর্ণময় ছিল না৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজে জানিয়েছিলেন, খুব কষ্ট করে বেড়ে ওঠা তাঁর৷ কেব্লের বিল মেটাতে না পারায় এক সময় বাড়িতে টেলিভিশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সুদীপ্তা ও তাঁর দাদা অনেক লড়াই করেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। মেয়ের সাফল্যে গর্বিত তাঁর মা-বাবা। বিয়ের সময় মেয়েকে আশীর্বাদের করতে গিয়ে দু’চোখ জলে ভরে এল সুদীপ্তার মায়ের। চোখের জলেই মেয়েকে বিদায় জানালেন মা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>