‘ডেলিভারি বয়’-এর চাকরি পেয়েছেন বাবা, কিশোরী মেয়ের উচ্ছ্বাস দেখে আবেগতাড়িত নেটিজেনরা

‘ডেলিভারি বয়’-এর চাকরি পেয়েছেন বাবা, কিশোরী মেয়ের উচ্ছ্বাস দেখে আবেগতাড়িত নেটিজেনরা

6781e4933347b25e2e8f8bf330588ede

চেন্নাই:   অনেক দিন ধরেই চাকরির খোঁজ করছিলেন তিনি৷ কিন্তু, এই প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় চাকরি পাওয়া তো সহজ কথা নয়৷  অনেক কষ্টেসৃষ্ঠে অবশেষে একটা চাকরি জোটে তাঁর৷ বাড়িতে এসে সেই খুশির খবর দেন নিজের প্রিন্সেস-কে৷ বাবা অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থায় ‘ডেলিভারি বয়’-এর চাকরি পেয়েছেন। সেই খবর শুনে খুশিতে পাগল মেয়ে। জড়িয়ে ধরলেন বাবাকে৷ ভরালেন ভালোবাসায়৷ 

আরও পড়ুন- দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা কথা

চিরকালই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পর্কগুলির মধ্যে অন্যতম বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক। বাবাদের কাছে তাঁদের মেয়েরাও তো রাজকন্যে৷ আবার বেশির ভাগ মেয়ের কাছেই তাঁর জীবনের প্রথম ‘সুপারহিরো’ তাঁদের বাবাই। জীবনে সবচেয়ে বেশি ভরসা এই মানুষটার উপরেই হয়তো করা যায়৷ আবার মা-বাবার কাছে সন্তানই তাঁদের জীবন৷ সন্তানের সাফল্যে তাঁরা নিশ্চিন্ত৷ উল্টো দিকে সন্তানও তাদের বাবা-মায়ের ভাল কাজ দেখলে গর্ব বোধ করে। ঠিক সেই ভাবেই বাবার সাফল্যে খুশিতে আত্মহারা এই খুদে৷ তাঁর আনন্দের সেই ভিডিয়ো মন ছুঁল নেটিজেনদের। 

ভাইরাল ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, একটি ৮-৯ বছরের কুশোরী, গায়ে স্কুলের পোশাক, দুই হাত দিয়ে চোখ ঢেকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, অনলাইন খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার দেওয়া পোশাক শরীরে ঠেকিয়ে মেয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাবা। কিশোরী চোখ থেকে হাত সরাতেই এক লাফে বাবার কোলে। মুখ জুড়ে তাঁর জয়ের হাসি। আনন্দে একেবারে লাফিয়ে ওঠে সে৷ ওই কিশোরীর চোখে-মুখে তখন উচ্ছ্বাস৷ বাবা চাকরি পাওয়ায় সে যেন হাতে চাঁদ পেয়েছে। ছোট্ট মেয়েটির খুশি দেখে আবেগে বাক্‌রুদ্ধ বাবাও। মুখে কথা নেই তাঁর৷ অপলক দৃষ্টি৷ দু’চোখ ভরে দেখছেন আর উপলব্ধি করছেন মেয়ের আনন্দ৷ ভিজে ওঠে চোখের কোণ৷ মেয়ের মুখের এই হাসিই তো তাঁকে জীবনের পথে এগিয়ে চলার শক্তি জোগায়৷ এটাই তাঁর বেঁচে থাকার রসদ। 

বাবা নতুন চাকরি পাওয়ায় সে কী করবে, তা যেন বুঝেই উঠতে পারছে না ওই কিশোরী৷ এক বার বাবাকে জড়িয়ে ধরছে৷ একবার আনন্দে লাফিয়ে উঠছে। বাবা-মেয়ের এই আনন্দভরা মুহূর্তের দৃশ্য দূরে দাঁড়িয়ে ক্যামেরাবন্দি করেন দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় থাকা অন্তঃসত্ত্বা মা।