কলকাতা: বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শিক্ষক দিবস পালনের জন্যে দলের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে কেন্দ্র সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় শিক্ষানীতি স্ব-নির্ভর ভারত গড়ে তুলবে একথার পাশাপাশি দিলীপ বিতর্কিত মন্তব্য করেন, “আমাদের দেশে পড়াশোনার ডিগ্রি নেওয়াটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে।” এই নেশাকে 'পাশ্চাত্য দোষ' বলে উল্লেখ করেনা তিনি। তাঁর কথায় এই 'পাশ্চাত্য দোষ'কে মুক্ত করবে নয়া শিক্ষানীতি।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে সব থেকে বেশি শিক্ষার্থী এমএ ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা করে। এই বিষয়ে আজ, শনিবার দিলীপ বাবু বলেন, সবার এত ডিগ্রি নেওয়ার কোনও দরকার নেই। পশ্চিমের দেশগুলিতে এই ভাবে সবাই ডিগ্রি নেয় না। তিনি বলেন, বিদেশে বেশিরভাগ মানুষই বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে পেশাদারি পড়াশোনা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে শুধুমাত্র যাঁরা গবেষণার কাজে যেতে চান তাঁরাই উচ্চ শিক্ষায় ডিগ্রি নিয়ে থাকেন। দিলীপ বাবু আরও বলেন, সেসব বাইরের দেশে উচ্চশিক্ষা এতই মহার্ঘ্য যে সবার পক্ষে তা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। সেখানে ভারতের ক্ষেত্রে এত মাস্টার ডিগ্রি করে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়ানোর কোনও মানে হয় না।
এর পরই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের দেশে ডিগ্রি নেওয়াটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। আমাদের সময় মাস্টারমশাইদের ৫টা মাস্টারডিগ্রি থাকত। প্রত্যেক বছর পরীক্ষা দিতেন আর ডিগ্রি পেতেন। কিন্তু ৫টা ডিগ্রি দিয়ে হবেটা কী! যাঁর পড়ার ইচ্ছা আছে সে কাজ করতে করতেই পড়ে নিতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ভারতের অনেক মহাপুরুষ স্কুলের গণ্ডি পার করেননি। অনেকে তো স্কুলে কোনও দিন যাননি। উদাহরণ হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের কথা উল্লেখ করেছেন দিলীপ বাবু। সেক্ষেত্রে নয়া শিক্ষানীতি প্রচলিত ধারাকে ভেঙে দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।