নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার পর এই প্রথম৷ পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন এক জন মহিলা। ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যা ফেয়ার্স (সিডিএ) পদের দায়িত্ব নিচ্ছেন গীতিকা শ্রীবাস্তব। বর্তমানে নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পদে রয়েছেন তিনি।
গীতিকার আগে ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসে এই পদের দায়িত্বে ছিলেন এম সুরেশ কুমার। সুরেশের পর চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হবেন গীতিকা। নয়াদিল্লি ফিরে আসবেন সুরেশ। তবে গীতিকা কবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, সে সম্পর্কে নয়াদিল্লির তরফে কিছু জানানো হয়নি৷
ভারত এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের জেরে উভয় দেশেরই দূতাবাসে এখন কোনও কমিশনার নেই। বিশেষত, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর ইসলামাবাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে, তার জেরেই হাই কমিশনারের দায়িত্ব বর্তেছে চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সের হাতে। সিডিএ-ই হল পাকিস্তানে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের সর্বোচ্চ কূটনীতিক পদ।
গীতিকা ২০০৫ ব্যাচের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) অফিসার৷ তিনি এত দিন ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গীতিকা ‘ম্যান্ডারিন’ ভাষা শেখার পর তাঁকে চিনের ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়েছিল। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় কূটনীতিক হিসাবে চিনে কর্মরত ছিলেন৷ বেশ কিছুদিন কলকাতার পাসপোর্ট অফিসেও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভাগীয় ডিরেক্টর হিসাবেও।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পাকিস্তানে প্রথম ভারতীয় হাইকমিশনার হয়েছিলেন শ্রী প্রকাশ। এর পর থেকে সেই পদে যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরা সকলেই পুরুষ। ১৯৪৭ সালের পর থেকে এই পদ সামলেছেন মোট ২২ জন ভারতীয় কূটনীতিক৷ ইসলামাবাদে শেষ ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়া। ২০১৯ সালে ভারত ৩৭০ ধারা রদ করে৷ এর জেরে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার হয়৷ সেই সময়ই ভারতীয় হাই কমিশনের মর্যাদা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ফলে অজয়ের মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। এবার পাকিস্তানের মতো স্পর্শকাতর প্রতিবেশীর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের দায়িত্ব দেওয়া হল গীতিকার উপর৷