নয়াদিল্লি: প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটতে যায়। দিল্লির অবস্থা এখনও শান্ত হয়নি। মঙ্গলবারও দিল্লি জুড়ে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। দিল্লিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর।
এদিন দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘কপিল মিশ্রই হোক বা অন্য কেউ, যে পার্টিরই সদস্য হোক, যদি কেউ উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখে থাকেন, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’ অন্যদিকে ঠিক একদিন আগেই দিল্লির বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারিও এর আগে কার্যত গৌতম গম্ভীরের সুরেই বলেন, যে দিল্লিতে বিজেপির হারের কারণ নেতাদের প্ররোচনামূলক বক্তব্য।
সোমবার দুপুর থেকেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি। রাতভর চলেছে সংঘর্ষের বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রাতে গোকুলপুরীর টায়ার মার্কেটে আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার দুপুরে ফের ডেকেছেন বৈঠক।
এদিন দিল্লির পরিস্থিতির যেসব ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে তাতে রাজধানীকে যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না। ধ্বংস হয়েছে একের পর এক গাড়ি বাড়ি দোকানপাট সব কিছুই। এমনকি পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন ভজনপুর আর একটি পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ইটের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রতনলাল নামে এক পুলিশের হেড কনস্টেবলের। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে গুরুতর চোট পান রতনলাল। তখনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে এক বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে বন্দুক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।