gandhi family
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাম মন্দির উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর একটা প্রশ্নই ভেসে বেড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশের আকাশে বাতাসে। সেটা হল এই রাজ্যে হিন্দুত্ব আবেগ এমন মাত্রায় পৌঁছবে যেখানে কি বিরোধীরা একটি আসনেও জিততে পারবে? যথারীতি এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে কংগ্রেসকে।
গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেথি কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে জয়ের সুবাদে তিনি সাংসদ রয়েছেন। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু রাম মন্দির আবেগ এতটাই তৈরি হয়েছে যে এবার রায়বেরেলি আসন সোনিয়ার জন্য নিরাপদ নয় বলে কংগ্রেসের একাংশ মনে করছেন। তাই কংগ্রেস সূত্রে খবর সোনিয়া গান্ধী তেলেঙ্গানার কোনও কেন্দ্র থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। আর সেটা হলে গান্ধী পরিবারের প্রধান দুই স্তম্ভ রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী দুজনেই তাহলে দক্ষিণ ভারত কেন্দ্রিক হয়ে যাবেন। যে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে।
ঘটনা হল দক্ষিণ ভারতেই একমাত্র বিজেপি অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্যেই তারা ক্ষমতাই নেই। সেখানে কংগ্রেস একক শক্তিতে ক্ষমতায় রয়েছে কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায়। তামিলনাড়ুতে অন্যতম প্রধান শরিক হিসেবে ডিএমকে’র সঙ্গে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই তেলেঙ্গানার কোনও আসন থেকে লড়াই করলে সোনিয়া গান্ধী অনায়াসে জিতবেন বলে কংগ্রেস মনে করে। কিন্তু উল্টো মতও রয়েছে দলে। সেক্ষেত্রে বিজেপি প্রচার করবে তাদের ভয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে পালিয়ে গেলেন গোটা গান্ধী পরিবার। গোটা গান্ধী পরিবার নিজেদের পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়ে চলে গেলেন দক্ষিণ ভারতে, এই প্রচার নিশ্চিত ভাবে তখন বিজেপি প্রবল ভাবে তুলে ধরবে। তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেস হাইকমান্ড, এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি চাইছেন সোনিয়া গান্ধী সেই রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের কোনও আসন থেকেই শেষ পর্যন্ত গান্ধী পরিবারের কেউ লড়েন কিনা সেটা নিয়ে সবারই কৌতূহল থাকবে। তবে শোনা যাচ্ছে সেক্ষেত্রে রায়বেরেলি বা আমেথি থেকে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তবে সবটাই জল্পনার স্তরে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকমান্ড কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।