g20
নয়াদিল্লি: আজ, শনিবার থেকে রাজধানী দিল্লিতে শুরু হয়ে গেল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। আর শুরুতেই চমক৷ নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে এই সম্মেলনের সূচনা করা হয়। এবারে সম্মেলনের সভাপতি ভারত। সেই মতো সম্মেলনের প্রথম সেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল সাড়ে দশটায় সম্মেলন শুরু হতেই জি-২০ হয়ে গেল জি-২১। সম্মেলনের আয়োজক তথা সভাপতি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধনী ভাষণের শুরুতেই ঘোষণা করেন, এবার থেকে আফ্রিকান ইউনিয়নকেও জি-২০র স্থায়ী সদস্য করা হল। এই ঘোষণার পরই বাকি সদস্যরা হাততালি দিয়ে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। বিদেশেমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আফ্রিকান ইউনিয়নের সভাপতি আজালি আসাউমনকে হাত ধরে উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে আসেন৷
কূটনৈতিক মহলের কাছে জি২০ সম্মেলনে ভারতের মাটি থেকে এই ঘোষণা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সপ্তাহ দু’য়েক আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন নমো৷ সেই সময়ই আফ্রিকান ইউনিয়নকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই সময় তাদের সদস্য করা হয়নি। যদিও ইথিওপিয়ার মতো আফ্রিকান দেশকে সদস্য করা হয়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়ন আসলে কী? এটি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। আফ্রিকার ছোট-বড় প্রায় ৫৫টি দেশ এই ইউনিয়নের সদস্য। ১৯৬৩ সালে এই মঞ্চ তৈরি করা হয়৷ মূলত আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সংহতি গড়ে তোলাই ছিল এর লক্ষ্য৷ এই সংস্থার সদর দফতর রয়েছে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায়।
এখন প্রশ্ন হল কেন এইউ’কে জি-২০’র সদস্য করা হল? জি২০ মঞ্চ তৈরির লক্ষ্য ছিল যৌথভাবে বিশ্ব আর্থিক মন্দা মোকাবিলা করা৷ ১৯৯৯ সালে জি২০ গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের যাত্রা শুরু করলেও, তা সক্রিয় হয় ২০০৭ সালে৷ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর তৎপরতায় ওই বছর থেকেই বিশ্বনেতারা জি-২০’র সম্মেলনে যোগ দিতে শুরু করেন। এর পর থেকেই ফি বছর জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ আর্থিক মন্দার মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতায় তৎপর এই মঞ্চ৷
ভারত তো বটেই বিশ্বের অন্যান্য সদস্য দেশও মনে করে, আগামী দিনে বিশ্ব মন্দা আরও ভয়ানক আকার নিয়ে পারে৷ বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে৷ পরিস্থিতি তেমন জটিল হয়ে উঠলে যৌথভাবে তা মৌকাবিলার লক্ষ্যেই আফ্রিকান ইউনিয়নকে যুক্ত করা হল।