রান্নাঘরের মশলায় বিষ? MDH-EVEREST পেল বড় শিক্ষা

দিল্লি: এমডিএইচ, এভারেস্ট, ক্যাচের মতো নামীদামী ব্র্যান্ডের মসলাতে বিষ? জানেন লঙ্কার গুঁড়ো নাকি ইটের গুঁড়ো ব্যবহার করছেন রান্নায়? নুন, হলুদেও ভেজাল? ধরবেন কী করে? একের…

Picsart 24 07 04 22 38 34 305

দিল্লি: এমডিএইচ, এভারেস্ট, ক্যাচের মতো নামীদামী ব্র্যান্ডের মসলাতে বিষ?
জানেন লঙ্কার গুঁড়ো নাকি ইটের গুঁড়ো ব্যবহার করছেন রান্নায়? নুন, হলুদেও ভেজাল? ধরবেন কী করে? একের পর এক নামি দামী ব্র্যান্ডের মসলা সংস্থার লাইসেন্স বাতিল।

ভেতরে ক্যান্সার বাসা বাঁধে নি তো? না এ কথা আমরা বলছি না। বলছে প্রুফ, প্রমাণ। দেখুন প্রথম যে খবরটা শুনেই সবাই ছিটকে যাবে, সেটা হলো আপনি জানেন রান্নায় রীতিমতো সব নামীদামী ব্র্যান্ডের মশলা ব্যবহার করছেন। কিন্তু আর সেখান থেকেই ক্যান্সার?
কেন্দ্রের FSSAI এর এতো বড় সিদ্ধান্তের কথায় পরে আসছি। তার আগে জানুন আপনার রান্নাঘরে যে মসলাগুলো রয়েছে সেগুলোতে আদৌ কোনো ভেজাল আছে কিনা। আপনি এবং আপনার কাছের মানুষরা আদেও সেফ কিনা।
এবার আপনার মনে হতে পারে, আপনি সাদা চোখে বুঝবেন কি করে।
দেখুন এরকম কিছু পরীক্ষা বাড়িতেই করে দেখা সম্ভব। যেগুলোতে বুঝবেন যে ভেজাল কিছু রয়েছে কিনা মসলাতে। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষা FSSAI নির্দেশিত।
যেমন ধরুন লঙ্কা গুঁড়ো। এর মধ্যে ইটের সুড়কি, বালি এগুলো যে মেশানো হয়, এটা আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না তো? না একেবারেই বাড়িয়ে বলছি না। আপনি প্রমাণ পেয়ে যাবেন শুধু যে পদ্ধতিটা বলা হচ্ছে সেটা করুন। লঙ্কা গুঁড়ো এক চামচ নিয়ে জলের মধ্যে মিশিয়ে দিন। নিচে কোনও অধঃক্ষেপ পড়লে সেটি হাতে নিয়ে ঘষে দেখুন।
অন্যরকম লাগলে বুঝতে হবে তাতে ভেজাল রয়েছে।

পদ্ধতি আলাদা হলেও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন আপনার বাড়ির নুনকেও।
প্রথমে একটা আলু কেটে নিন। এবার দুটো আলুর মধ্যেই অল্প করে নুন লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর নুনের উপর লেবুর রস লাগান।
নুনে ভেজাল না থাকলে আলুর রং পাল্টাবে না। ভেজাল থাকলে পাল্টে যাবে আলুর রং। এইভাবেও আপনি ধরতে পারবেন।
ভেজাল আছে কিনা হলুদ গুঁড়োতে সেটাই বা বুঝবেন কি করে, বলবো। তার আগে জানাবো FSSAI এর সিদ্ধান্তের কথা।

বেশ কিছুদিন ধরেই টেলিভিশন সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হচ্ছিল একটা খবরে। ভারতীয় মশলা নিয়ে নানান বিতর্ক। কিন্তু তারপর যে এই ঘটনাটা ঘটবে সেটা ঘুনাক্ষরেও আঁচ করা যায়নি। একসঙ্গে ১১১টি মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স ডিরেক্ট বাতিল করে দিল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া। না এখানেই শেষ নয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো বাতিল করা সংস্থাগুলোর লিস্টে যেসব কোম্পানি রয়েছে তাদের নাম শুনলে আপনি ছিটকে যাবেন। এমডিএইচ, এভারেস্ট, ক্যাচ, বাদশাহের মতো একাধিক জনপ্রিয় সংস্থা। সবচেয়ে বড় খবরটা শুনুন এবারে। এই সংস্থাগুলো আর মশলা তৈরিই করতে পারবে না ভারতে। আসলে, চলতি বছরের এপ্রিলে সিঙ্গাপুর এবং হংকং ভারতের দুই জনপ্রিয় মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মশলা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিপজ্জনক মাত্রায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগ ওঠে দুই সংস্থার বিরুদ্ধে। এর পর নেপালেও এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মশলা নিষিদ্ধ হয়। কয়েকদিন পরে রাজস্থান সরকার পরীক্ষাগারে যাচাই করে রাসায়নিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই দুই সংস্থার মশলাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। একবার নয় এসবের পর কয়েক হাজার বার পরীক্ষা হয়েছে মসলার নমুনা কেন্দ্রের তরফে। তারপরেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। আপনিও চেক করতে পারেন বাড়িতেই হলুদ গুঁড়ো। কীভাবে? হলুদ গুঁড়োর মধ্যে প্রায়ই চকের গুঁড়ো, রং, ডাই ও ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হয়। যা পরখ করতে হালকা গরম জলে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিশতে দিন। জলের রং কালচে হলুদ হয়ে এলে বুঝবেন হলুদ গুঁড়োয় ভেজাল রয়েছে।দেখুন, এটা কে না জানে যে মশলা দীর্ঘদিন সংরক্ষিত রাখতে বেশ কিছু রাসায়নিক মেশানো হয় তাতে। তবে বিভিন্ন দেশে এই রাসায়নিকগুলো কতটা মেশানো যাবে, তার একটা লিমিট বলা আছে। অভিযুক্ত সংস্থাগুলো সেই মান অগ্রাহ্য করেই দীর্ঘ দিন ধরে মশলা প্রস্তুত করছিল। আর তারই ফল পেল হাতেনাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *