মুর্শিদাবাদ: অন্তর্জালে আলাপ। সেই আলাপই যে কখন গভীর হয়ে ওঠে বুঝতে পারেনি ওঁরা৷ বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। আর তারপর এক হয় চারহাত। শুনতে সাদামাটা প্রেমের গল্প বলে মনে হলেও, এখানে রয়েছে একটা টুইস্ট৷ কারণ পাত্র আর পাত্রী দু’জনেই যে ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা৷ এক শহর তো নয়ই, এক দেশেরও বাসিন্দা নন তাঁরা৷ এমনকী ভাষাও আলাদা৷ বলতে গেলে একে অপরের ভাষা তাঁরা বোঝেনই না৷ কিন্তু মন চিনে নিয়েছে তাঁদের ভালোবাসার মানুকে৷ তাই তো তাঁদের ভালোবাসায় অন্তরায় হতে পারেনি দেশের সীমারেখা৷
আরও পড়ুন- রাজ্যের বিরুদ্ধে বিপুল টাকা বকেয়ার অভিযোগ NCC-র, আসরে চন্দ্রিমা
কুন্তল আর প্যাট্রিসিয়া। একজন হুগলির পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা৷ অন্যজনের ঠিকানা প্যারিস৷ মাত্র চারমাসের আলাপেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান তাঁরা৷ আর সেই সম্পর্কের গভীরতা এতটাই গভীর ছিল যে প্রেমের টানে সুদূর প্যারিস থেকে সোজা পাণ্ডুয়ায় প্রেমিকের বাড়ি পাড়ি দিতে দু’বার ভাবেননি প্যাট্রিসিয়া। তাঁদের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে উভয়ের পরিবার৷ বড়দের আশীর্বাদ নিয়েই পাণ্ডুয়ার এক মন্দিরেই এক হয় চারহাত। বিয়ের পর বেশ কয়েকটা মাস দিন কেটে গিয়েছে। কেমন কাটছে তাঁদের বৈবাহিক জীবন?
প্যারিসের সুন্দরী এখন পাণ্ডুয়ার বধূ। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে৷ শিখছেন বাঙালি সংস্কৃতি আর বাংলা ভাষা৷ এমনকী, বাঙালি রান্নাও শিখতে শুর করেছেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমকে কুন্তল বলেন, “ধীরে ধীরে বাঙালি রান্নাবান্ন শিখছে প্যাট্রিসিয়া। ওদের ওখানে হলুদ ও জিরেগুঁড়োর ব্যবহার হয় না। এখানকার মশলাগুলোর সঙ্গে ওঁর পরিচয়ই ছিল না৷ একটু একটু করে ওঁকে চেনাচ্ছি৷’’ মজার ছলি কুন্তল বলেন, ‘‘ওঁকে বলেছি এই মশলা না খেলে মশা কামড়াবে। তাই এখন এই সব মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার খাচ্ছে। শুধু তাই নয়, রান্নাও করছে। প্রথম বাঙালি রান্না হিসেবে ওর হাতেখড়ি ডিমের ঝোল দিয়ে। মন্দ ছিল না।” কুন্তল মশলার কারবারি৷ আগামী দিনে দু’জনে মিলে রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা রয়েছ তাঁদের৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>