কলকাতা: প্রতারণার শেষ নেই। কখনো ব্যাংক জালিয়াতি, কখনো এটিএম জালিয়াতি, কখনো চাকরির নামে জালিয়াতি। একের পর এক ইস্যুতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হয়ে যাচ্ছেন দিন দিন। এমনকি উৎসব মরসুমেও প্রতারিত হওয়ার সংখ্যায় কমতি ঘটেনি, বরং বেড়েছে। জানা গিয়েছে, চাকরির নামে প্রতারণার ঘটনা সবচেয়ে বেশি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই এবছর উৎসব পালন হয়েছে বাংলা তথা ভারতে। লকডাউন কার্যকরী হওয়ার জন্য একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি চলে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই এই মরসুমে বেড়েছে প্রতারণার সংখ্যা। কলকাতা পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে, উৎসবের সময় চাকরির টপ দিয়ে প্রতারণা করার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর জন্য বেকারত্বকেই দায়ী করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ চাকরির লোভে অনেক বেশি প্রতারিত হয়েছেন।
অনেক ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর পর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সময় হঠাৎ নতুন চাকরির লোভে পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছে অনেককে। এই সময় মানসিক পরিস্থিতি এমন থাকে যে কাকে কী তথ্য দিচ্ছেন, কাকে ব্যাংকের গোপন তথ্য শেয়ার করেছেন, তা মাথায় থাকছে না। সেই পরিস্থিতির ফায়দা নিয়েই জালিয়াতরা একের পর এক প্রতারণা করে গিয়েছে। সুতরাং আর কেউ যাতে প্রতারিত না হন, তার জন্য বিশেষজ্ঞরা বিশেষ কিছু দিকে নজর রাখতে বলেছেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, চাকরির জন্য যেসব জায়গায় মেইল বা তথ্য পাঠাচ্ছেন, সেই সব জায়গার দিকে ভালো করে নজর রাখতে হবে। কারণ অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি নজর রাখতে হবে কোন সংস্থায় চাকরির আবেদন করছেন সেই দিকে। যে সংস্থায় আবেদন করছেন সেই সংস্থা সম্পর্কে ভালো করে তথ্য যাচাই করতে হবে। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মাধ্যমে পাওয়া কোনরকম হেল্পলাইন নম্বর বা ই-কমার্স সাইটের বিভিন্ন লিঙ্ক প্রথমেই বিশ্বাস করা যাবে না। কোন ওয়েব সাইটে ঢোকার আগে বা অনলাইনে কোন আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার আগে ভালো করে সেটার সম্পর্কে যাচাই করে নিতে হবে।