কলকাতা: প্রতারণার দায়ে এবার কাঠগড়ায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান৷ অভিযোগ, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বসিরহাটের সাংসদ। নুসরতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সোজা ইডির দ্বারস্থ প্রতারিত ব্যক্তিরা৷তাঁদের সঙ্গে দেখা ইডি-র দফতরে হাজির বিজেপি নেতা শঙ্কু দেব পান্ডা। সোমবার সন্ধেয় কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তিকে নিয়ে আচমকাই ইডির দফতরে আসেন বিজেপি নেতা। তাঁর সাফ হুঁশিয়ারি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতারিত ব্যক্তিরা সুবিচার না পেলে পথে নামবেন তাঁরা৷
নুসরতের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালে নুসরতের সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেয়। চুক্তি হয়েছিল বিনিময়ে ফ্ল্যাট দেবেন তিনি৷ কিন্তু, অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাট কেউ পাননি৷ কো-অপারেটিভ সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিল। এর পর প্রায় ৯ বছর কেটে গেলেও বিনিয়োগকারীরা কেউই ফ্ল্যাট হাতে পাননি। সেই সময় নুসরতের সংস্থা দাবি করেছিল, রাজারহাট হিডকোর কাছে এই ৪২৯ জনকে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পালন না করায় তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ জানা যায়, মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে ওই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে যে টাকা গিয়েছিল, তা দিয়ে ওই কোম্পানির ডিরেক্টররা ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট কেনেন। যার মধ্যে নুসরত জাহানও রয়েছেন। নুসরত নাকি ওই টাকায় পাম অ্যাভেনিউতে নিজের একটি ফ্ল্যাট কেনেন৷
নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এবার ইডির দ্বারস্থ বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। ‘পুলিশে জানিয়েও লাভ না হওয়ায় ইডির দ্বারস্থ হয়েছি’, দাবি তাঁর৷ অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘ইডির কাছে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ নুসরত জাহান। যেহেতু কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে অভিযোগ জানানো হচ্ছে, তাই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই অভিযোগের জবাব দেবেন তিনি’।