আর্দশ বিক্রিতে নারাজ বাম শিবির! তৃণমূল নেতার প্রত্যাবর্তনের আর্জি ফেরাল ফরওয়ার্ড ব্লক

তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ফের পুরোনো দলে ফিরতে চেয়েছিলেন মইনুদ্দিন শামস

নলহাটি: মাত্র দুদিন আগেই একুশের ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। প্রার্থী তালিকায় স্থান না পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শাসকদলের একাধিক বিধায়ক। এমতাবস্থায় যখন রাজনীতির আঙিনায় পোশাক বদলের মতোই চলছে দলবদলের খেলা, তখন বামপন্থী রাজনীতিতে তৈরি হল নজির।

তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটের টিকিট না পেয়ে পুরোনো দল ফরওয়ার্ড ব্লকে ফিরতে চেয়েছিলেন নলহাটির তৃণমূল বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস। কিন্তু দল ছাড়া যতটা সহজ, দলে ফেরা যে ঠিক ততটাই কঠিন তা এদিন হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তিনি। ফের দলে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে মইনুদ্দিনকে সাফ না করে দিল বামপন্থী শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক। ভোটমুখী বাংলায় দলবদলের হিরিকের মাঝেই এহেন কাণ্ড ঘটিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারা।

বস্তুত, লাল পার্টির সময়কালে মইনুদ্দিন শামসের বাবা ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনিও এই দলের হয়েই রাজনীতি করেন দীর্ঘ সময়। কিন্তু ২০১১-র পরিবর্তনের হাওয়ায় গা ভাসিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে দেখা যায় তাঁকে। এতদিন ঠিকই ছিল, কিন্তু একুশের ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই কাটল তাল। দলের তালিকায় নাম না দেখতে পেয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মইনুদ্দিন শামস। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানান, দলের জন্য কাজ করার পরেও প্রার্থী তালিকায় ব্রাত্য হওয়ায় তিনি মোটেই সন্তুষ্ট নন। যথারীতি দলত্যাগের ইঙ্গিতও দেন তিনি।

এরপরেই পুরোনো দলের দরবারে ফের হাজির হন মইনুদ্দিন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ৭ শতাংশের কালিমা মাথায় নিয়েও আদর্শ বিক্রি করতে নারাজ বামেরা। তাই শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা হলেও ফরওয়ার্ড ব্লকে জায়গা হল না মইনুদ্দিনের। উল্লেখ্য, বামেদের তরফ থেকে বরাবরই দলের আভ্যন্তরীণ নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতি জোর দেওয়া হয়। এদিনের ঘটনা আরো একবার সামনে আনল সেই কথাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *