নয়াদিল্লি: প্রয়াত হলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ৷ দীর্ঘ ন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি৷ গত আগস্টে করোনা ধরা পড়ে ৮৪ বছরের এই কংগ্রেস নেতার৷ পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ যদিও ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তরুণ গগৈকে৷ চলতি মাসেই চিকিৎসাধীন এই কংগ্রেস নেতাকে হাসপাতালে দেখতে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল৷ শনিবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, অবস্থার অবনতি হচ্ছে তাঁর৷ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে৷ এদিন বিকেলে তরুণ গগৈয়ের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷
প্রবীণ কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈজির আকষ্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ৷ তাঁর মৃত্যুতে পরিবার, অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই৷’’ প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘তরুণ গগৈ ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং জনপ্রিয় নেতা৷ অসম রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই ক্ষেত্রেই অনেক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার সাক্ষী ছিলেন তিনি৷ তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ৷ পরিবার, সমর্থকদের সমবেদনা জানাই৷ ওম শান্তি৷’’ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘‘তরুণ গগৈ ছিলেন একজন প্রকৃত কংগ্রেস নেতা৷ অসমের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন তিনি৷ অসমের সমস্ত মানুষ এবং সম্প্রদায়ের জন্য নিজের জীবন কাটিয়েছেন৷ আমার কাছে তিনি ছিলেন একজন সৎ এবং মহান শিক্ষক৷ তাঁর পুত্র গৌরব এবং পরিবারকে সমবেদনা জানাই৷’’
তরুণ গগৈ৷ জন্ম ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল৷ গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন৷ ১৯৭১ সালে তিনি প্রথম সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন৷ ১৯৭৭, ১৯৮৩ ও ১৯৯১ সালে পরপর ৩ বার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন৷ পরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী হিসাবে ছিলেন নিযুক্ত৷ ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তরুণ গগৈ মার্ঘেরিটা বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন৷ ১৯৯৯ সালে ফের যান লোকসভায়৷ ২০০১ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ দ্বিতীয়বার ২০০৬ সালে কংগ্রেস সরকার গঠন করে তরুণ গগৈয়ের নেতৃত্বে৷