সোনা কেনার আগে মেনে চলুন এই টিপসগুলি

সোনা কেনার আগে মেনে চলুন এই টিপসগুলি

3 stocks recomended

সোনার গয়নার প্রতি বরাবর মহিলাদের আকর্ষণ একটু বেশি। তাইতো দোকানে গিয়ে সাত পাঁচ ভাবনা চিন্তা না করেই পছন্দের গয়নাটি কিনে ফেলেন। দরদাম করা তো দুরস্ত যাচাইও করেন না তাতে আসল সোনা আছে না খাদ মেশানো। এর ফলে খাদ মেশানো সোনা কিনে পরবর্তীকালে ঠকতে হয়। কারণ সেই গয়না না পড়া যায়, না বিক্রি করা যায়। তাই সোনা কেনার আগে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। থাকতে হবে সাবধান। অন্তত কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা প্রয়োজন তাতে আপনাকে ঠকতে হবে না। কোন কোন পাঁচটি বিষয় যা মাথায় রাখলে সোনা কেনার পর আপনাকে ঠকতে হবে না? আসুন জেনে নেওয়া যাক সোনা কেনার সেই পাঁচ মূলমন্ত্র…

সোনার দাম যাচাই: আপনি যদি এই মুহূর্তে সোনার গয়না কেনার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সোনার দাম কত চলছে তা আগে জানতে হবে। কারণ শহর ভিত্তিক সোনার দাম পরিবর্তিত হয়। আপনার শহরে সোনার দাম যা অন্য শহরে তা ভিন্ন হয়। বিদেশী বাজারের দাম অনুযায়ী লোকাল বাজারে সোনার দোকানদাররা দাম নির্ধারণ করে থাকে। যেমন আপনি যদি কলকাতাতে গিয়ে সোনা কেনেন তাহলে কলকাতা এসোসিয়েশনের দ্বারা জারি করা সোনার দাম জেনে নিতে হবে। এছাড়াও আরো দুই একটি জায়গায় কিংবা বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে দাম জেনে নিয়ে তবেই কিনুন।

ক্যারেট যাচাই: সোনার শুদ্ধতা মাপা হয় ক্যারাটে। ক্যারেট যত বেশি শোনাও তত বেশি খাঁটি। আর বেশি ক্যারেট মানেই দামও তত বেশি হয়। একইভাবে ক্যারেট যত কম হবে সোনার দাম কত কম হয়। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন সোনার দোকানদাররা অনেক সময় গ্রাহকের কাছে ২৪ ক্যারেট সোনার গহনা বলে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু মনে রাখবেন ২৪ ক্যারাটে সোনার গহনা তৈরি করা যায় না। কারণ ২৪ ক্যারেট সোনা খুবই শক্ত। সাধারণভাবে ২২ ক্যারেট সোনায় গয়না তৈরি করা হয়। ২২ ক্যারেট সোনার গহনায় রয়েছে 91.66 শতাংশ সোনা।

হলমার্ক যাচাই: সোনার গয়নায় হলমার্ক নির্ধারণ করে থাকে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড। এই সংস্থা ক্রেতাদের সোনার গহনার গুণগতমানের সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। সোনার গয়নার উপর যে হলমার্ক চিহ্নটি আপনারা দেখতে পান তা আসলে সেই সোনার বিশুদ্ধতা প্রমাণ করে থাকে। কিন্তু অনেক সোনার ব্যবসায়ী তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই হলমার্ক চিহ্ন লাগিয়ে দেয়। আর এভাবেই ঠকায় ক্রেতাদের। ফলে এ বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে আপনাকে। হলমার্ক আসল নাকি ভুয়ো সেটা অবশ্যই যাচাই করে তবেই কিনুন।

মেকিং চার্জ যাচাই: মনে রাখবেন প্রত্যেক সোনার দোকানে মেকিং চার্জ আলাদা আলাদা হয়। আর এই মেকিং চার্জ নির্ধারণ করা হয় গয়নার উপর ডিজাইন, কাটিং এবং ফিনিশিং-এর উপর। অনেক সময় কাটিং মেশিন দ্বারা করা হয়ে থাকে। ফলে সেক্ষেত্রে চার্জ কিন্তু আলাদা হবে। আর হাতে তৈরি গয়নার চেয়ে মেশিনে তৈরি গয়নার মেকিং চার্জ সস্তা হয়। আর মেকিং চার্জ নির্ধারণ করা হয় প্রত্যেক গ্রাম সোনার দামের শতাংশের নিরীক্ষে।

ওজন যাচাই: সোনার গয়না কেনার সময় অনেকেই টোকেনে লেখা থাকা ওজন দেখে কিনে ফেলেন। ওজন মাপার যন্ত্রে তা আর মেপে দেখে নেন না। এক্ষেত্রে ঠকতে হয়। তাই গয়না কেনার সময় অবশ্যই দোকানে থাকা ওজনে গয়নার ওজন মেপে দেখে নিন। তাহলে আর পরবর্তীকালে সমস্যায় করতে হবে না।

সুতরাং সোনা কেনার সময় অবশ্যই এই পাঁচটি বিষয় মাথায় রেখে তবেই কিনতে যান। তাহলে দোকানদাররা আপনাকে আর বোকা বানাতে পারবে না। ঠকতে হবে না আপনাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =