Protecting
কলকাতা: রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট। হাসপাতালগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা৷ আসছে একের পর এক মৃত্যুর খবর৷ ডেঙ্গি যে শুধু বয়স্কদের জন্যেই ঘাতক, তেমনটা নয়৷ ডেঙ্গির কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও৷ তাই এই সময় শিশুদের জ্বর হলে অভিভাবকদের বাড়তি সাবধানতা নিতেই হবে৷ আপানার খুদের জ্বর হলে আর সময় নষ্ট নয়৷ অবিলম্বে চিকিৎসকের নির্দেশে রক্ত পরীক্ষা করান৷ (Protecting)
এ সময়ে কিন্তু জ্বর, সর্দি, পেটে ব্যথা দিয়েও ঘটছে রোগের সূত্রপাত৷ ফলে শিশু যদি বলে বুকে বা পেটে ব্যথা করছে, তা হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করান। রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সময়ে শিশুদের যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সে দিকেও নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও জলীয় খাবার দিতে হবে। আর নিয়ম করে রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা পরীক্ষা করান৷ ডেঙ্গিতে বুক-পেটে জল জমে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে রেখে সঠিক চিকিৎসার করালে ডেঙ্গিকে পরাস্ত করা যেতে পারে৷
ডেঙ্গির হানা থেকে শিশুদের রক্ষা করবেন কী ভাবে?
১) বাড়ি হোক বা স্কুল, শিশুদের শরীরে সব সময় মশা তাড়ানোর ক্রিম মাখিয়ে রাখুন। যতটা সম্ভব শিশুদের ফুলহাতা জামা আর ফুল ট্রাউজার্স পরিয়ে রাখুন।
২) অভ্যাস না থাকলেও শিশু আর পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বর্ষার সময় অবশ্যই মশারির টাঙিয়ে ঘুমান৷
৩) বাড়ির চারপাশে জল জমতে দেবেন না৷ জমা জল পরিষ্কার না হলে প্রয়োজনে কর্পোরেশন, স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। জানলায় মশা আটকানোর নেট লাগিয়ে রাখুন৷
৪) ভেষজ কোনও কোনও ধূপেও মশা তাড়ানো যায়। সেগুলিও ব্যবহার করা যেতে পারে৷ মশা তাড়ানোর জন্য কর্পূরও জ্বালাতে পারেন৷ ইউক্যালিপটাস, তুলসী, লেমনগ্রাস— এই সব গাছ বাড়িতে রাখতে পারেন। এই সব গাছের গন্ধে মশা দূরে থাকে।
৫) শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির জন্য ডায়েটের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। এই সম আপনার খুদেকে বেশি করে ব্রকোলি, দই, টকজাতীয় ফল, পালংশাক, বাদাম খাওয়াতে হবে। এর পাশাপাশি আপনার খুদে সন্তান যাতে বেশি করে জল পান করে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।