gaganyaan
বেঙ্গালুরু: চাঁদের পাড়ায় ঘোরাফেরা শেষ৷ সেই সাফল্যের পালক মুকুটে গুঁজেই সূর্যের খোঁজখবর নিতে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর সৌরযান৷ তবে এখানেই যে তারা থামছে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইসরো প্রধান৷ শুরু হয়েছে শুক্রের ঠিকানার খোঁজ৷ সেই সঙ্গে চলছে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি৷
বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমে হাতের মুঠোয় চাঁদ পেয়েছে ভারত৷ সূর্যের খোঁজ খবর নিয়েতে এগিয়ে চলেছে সৌরযান আদিত্য এল১-ও৷ প্রশ্ন ছিল এর পর কী? চন্দ্রজয়ের পর ভারতের প্রথম মানব মিশন পরিচালনার পথে এগোচ্ছে ইসরো। গগনযান মিশনের হাত ধরে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। তবে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছনোর আগে বেশ কয়েকটি ট্রায়াল পার করতে হবে। মহাকাশচারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আগে ভাগে ভালোমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে চাইছে ইসরো৷ তার পরই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা৷ তেমনটাই জানালেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। সম্ভবত, নতুন বছরের গোড়ার দিকেই গগনযানের অধীনে প্রথম মানববিহীন মিশন চালু করা হবে।
ইসরোর প্রধানের কথায়, ‘‘গগনযান মিশনের কাজ ভালো ভাবেই এগোচ্ছে। খুব শীঘ্রই গগনযান মিশনের অঙ্গ হিসেবে আমরা প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান (TV-D1) চালু করব। আমরা আশাবাদী, খুব সম্ভবত অক্টোবরেই প্রথম মিশন লঞ্চ করা সম্ভব হবে৷ এই মিশনের জন্য যাবতীয় জিনিস প্রস্তুত রাখছি৷ আগামী বছরের প্রথম দিকে আমরা প্রথম মানববিহীন মিশনের পরিকল্পনা করছি।”
ইসরো সূত্রে খবর, চাঁদে মহাকাশচারীদের পাঠানোর আগে চারটি পরীক্ষামূলক মহাকাশযান মিশন পরিচালনা করা হবে। সেগুলির মধ্যে TV-D1 ও D2 হবে চলিত বছরেই৷ অন্যদিকে গগনযানের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে পরীক্ষামূলক D4 মহাকাশযান পরিচালনা করা হবে ২০২৪ সালে। নভোশ্চর পাঠানোর আগে দু’বার পাঠানো হবে রোবোট৷ মানবহীন মিশনে থাকবে ইসরোর রোবট ব্যোমমিত্র৷ এছাড়াও LVM3 G1 ও LVM3 G2-এর মাধ্যমেও রোবোট পাঠানো হবে মহাকাশে।
২০২০ সালে ইসরো তৈরি করে মানবযন্ত্রী ব্যোমমিত্র৷ যেটি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন। মহিলারে আদলে তৈরি এই রোবটের কোমর থেকে নীচের অংশ অবশ্য নেই। ইসরোর ইনারশিয়াল সিস্টেমে তৈরি করা হয়েছে এই মানবযন্ত্রী। এর হাতের আঙুলগুলি তৈরি হয়েছে ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে। AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই অত্যাধুনিক মহিলা রোবটটি মহাকাশের সমস্ত ভাইব্রেশন ও শক নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। পা না থাকলেও, মানুষের মতোই তার আদব কায়দা, মুখের অভিব্যক্তি। এমনকী কথাও বলতে পারে ব্যোমমিত্র।