এই প্রথম এত কম আসনে লড়ছে সিপিএম! ঘুরে দাঁড়ানো যাবে?

এই প্রথম এত কম আসনে লড়ছে সিপিএম! ঘুরে দাঁড়ানো যাবে?

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিএম গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম সবচেয়ে কম সংখ্যক লোকসভা আসনে লড়তে চলেছে সিপিএম। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে গোটা পঞ্চাশ আসনে সিপিএম লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এত কম সংখ্যায় সিপিএমকে অতীতে কোনও দিন লড়তে দেখা যায়নি। ১৯৭৭ সালে সিপিএম ৫৩টি আসনে লড়েছিল। সেটাই এতদিন সবচেয়ে কম ছিল। এবারের সংখ্যাটা তার থেকেও কয়েকটা কম বলে জানা যাচ্ছে। অতীতের পরিসংখ্যান বলছে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ৬৩ থেকে ৬৪টি আসনে লড়ত সিপিএম।

১৯৯৬ সালে ৭৫টি আসনে লড়েছিল তারা। ২০১৪ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছিল ৯৩। সেবার ৯টি আসনে জয় পেয়েছিল তারা। অর্থাৎ ১০ শতাংশ আসনে সিপিএম জয় পায়। গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম লড়েছিল ৬৯টি আসনে। তবে জয় পেয়েছিল মাত্র তিনটিতে। কেরলে একটি এবং তামিলনাড়ুতে ডিএমকে’র সমর্থনে দুটি আসনে জয় পেয়েছিল তারা। অর্থাৎ আসন সংখ্যার লড়াইয়ের নিরিখে মাত্র ৪.৪ শতাংশ আসনে তারা জয় পেয়েছিল। এবার সেই সংখ্যাটা আরও কমে ৫০-এর কাছাকাছি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কটি আসনে তারা জয় পাবে সেটা নিয়ে ফের প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম তথা বামেরা শূন্য হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে এবার সিপিএম চাইছে সংখ্যায় বেশি আসন লড়ার চেয়ে কম আসনে লড়ে যদি জোরদার লড়াই দেওয়া যায় তাহলে জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। তাই বেছে বেছে জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। কেরলে সিপিএম শাসক দল। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ছে তারা। এছাড়া তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং রাজস্থানে কংগ্রেসের সমর্থনে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিএম প্রার্থীরা।

এখনও পর্যন্ত এই দুটি রাজ্য মিলিয়ে তিনটি আসনে লড়ছে তারা। ত্রিপুরায় একটি আসনে লড়ছে সিপিএম। এর পাশাপাশি কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সিপিএমের প্রার্থীরা রয়েছেন। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা গোটা পঞ্চাশের মত। অথচ এক দশক আগেও সিপিএমের এমন অবস্থা চিন্তার বাইরে ছিল। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে সিপিএম চিহ্নিত হতো। তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা। সেই কঠিন কাজটা কী তারা করতে পারবে? পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশ জুড়ে আবার স্বমহিমায় ফিরতে পারবে রেড ব্রিগেড? উত্তরটা মিলবে ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের দিনেই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 1 =