কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে রক্তাক্ত গ্রাম বাংলা৷ কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে নদিয়া— শনিবার ভোটের সকালে প্রথম চার ঘণ্টায় খুন হয়ে গিয়েছেন ৭ জন৷ আর সওয়া এগারোটার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাল, প্রথম দু’ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২২.৬০ শতাংশ।
সকাল থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে দেখা যায়নি নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। তিনি যখন দফতরে এলেন, তখন ঘড়িতে ১০টা৷ প্রথম তিন ঘণ্টা কার্যত অভিভাবকহীন রইল কমিশন। এদিকে, সকালে ভোট শুরুর পর থেকেই কন্ট্রোল রুমে থাকা এক ডজন ল্যান্ড ফোন নাগাড়ে বেজে যাচ্ছিল। জমছিল অভিযোগের পাহাড়। এই পরিস্থিতিতে দৃশ্যতই বিড়ম্বনায় পড়েন কমিশনের বাকি কর্তারা।
আজ সকাল থেকে হিংসার যে ছবি সামনে উঠে এসেছে, তা বাংলার ভোট রাজনীতিতে বেনজির নয়৷ অনেকের মতে, রক্ত, লাশের পরম্পরা মেনেই পঞ্চায়েত গড়ার ভোট হচ্ছে রাজ্যে। তাঁদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোট হবে আর রক্ত ঝরবে না, সেটা হয় নাকি?
এদিন দেখা গেল প্রথম চার ঘণ্টায় যে পরিমাণে ভোট পড়েছে তা অনেক নয়, আবার একেবারে কমও নয়। কারণ, বহু জায়গায় ছাপ্পা হয়েছে৷ ব্যালট পেপার ছিনতাই করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুথ দখলের চেষ্টা হয়েছে। শনিবার যত প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে তারমধ্যে মুর্শিদাবাদেই হয়েছে জোড়া খুন৷