মানুষের জন্য আমার প্রাণ গেলেও কিছু আসে যায় না! টিকা নিয়ে ফিরহাদ

ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক টিকা নিলেন ফিরহাদ।

কলকাতা: বিশ্বের একাধিক দেশের মতো ভারতীয় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এদিন ভারতের সেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ভ্যাকসিন নিলেন ফিরহাদ হাকিম। গত সপ্তাহে তাকে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার প্রস্তাব দেয় নাইসেড। সেই প্রস্তাব পাওয়ার পরে এক সেকেন্ডেই রাজি হয়ে যান তিনি। এদিন সেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক টিকা নিলেন ফিরহাদ।

এদিন বিকেলে নাইসেডে পৌঁছনোর পর বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ফিরহাদ হাকিমের। তবে প্রথমেই জানা গিয়েছিল তাঁর অন্যরকম কোমোর্বিডিটি নেই। সেই প্রেক্ষিতে এককথায় করোনাভাইরাসের প্রয়োগমূলক টিকা নিতে রাজি হয়ে যান ফিরহাদ হাকিম। টিকা নিয়ে তিনি স্পষ্ট জানান, সাধারণ মানুষের জন্য তিনি সব করবেন। তাদের জন্য যদি প্রাণ যায় তা হলেও তাঁর কিছু এসে যায় না। একইসঙ্গে জানান, এই মারণ ভাইরাস অনেকের মৃত্যুর কারণ। তাই মানুষের সাহায্য করতে গিয়ে যদি তাঁরও প্রাণ যায়, তাতে কোনো সমস্যা নেই তাঁর। জানা গিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য শহরের একাধিক মেয়রদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ কেউ রাজি হননি, কেউ আবার কোমর্বিডিটি থাকার কারণে ভ্যাকসিন নিতে পারেননি। তবে ফিরহাদ হাকিম এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য কলকাতায় এসে পৌঁছে গিয়েছে কোভ্যাকসিনের ১,০০০টি ডোজ। এদিন তাঁকে প্রথম ডোজটি দেওয়া হল, ২৮ দিন পর আবার তাঁকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে তাঁকে। তারপর এক বছর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে ফিরহাদ হাকিমকে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার পরীক্ষা। গোটা দেশে ২৫৮০০ জনের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগ করা হবে। যার মধ্যে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গেরও ১০০০ জন। প্রসঙ্গত, কলকাতায় প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার কথা ছিল ফিরহাদ হাকিমের।তবে প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হয়েছেন বেলেঘাটার বিপ্লব জস। তাই দ্বিতীয় হতে হল তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *