রায়গঞ্জ: বদলির পরেও পুরনো স্কুলে ভোটের ডিউটির চিঠিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি৷ অন্যায় ভাবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল এফআইআর৷ প্রতিবাদে সরব শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ৷
আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ট্যাপ, দায়ের হল মামলা
মহাদেব ভুঁইয়া নাম এক শিক্ষক উত্তর দিনাজপুর জেলার জানগাঁও টি.এন হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন৷ কিন্তু পরে তিনি ওই স্কুল থেকে ট্রান্সফার হয়ে যান৷ গত ১৮ জানুয়ারি জানগাঁও টি.এন হাই স্কুল থেকে রিলিজ নিয়ে তিনি চলে আসেন উত্তর ২৪ পরগনায়৷ ১৯ জানুয়ারি দাদপুর এইচ.এল শিক্ষা নিকেতনে তিনি যোগ দেন৷ কিন্তু ২২ জানুয়ারি তাঁর পুরনো স্কুলে মহাদেব ভুঁইয়ার নামে ওই জেলার নির্বাচনী দফতর থেকে ভোটের ডিউটির জন্য চিঠি পাঠানো হয়। ওই স্কুল থেকে তিনি ট্রান্সফার নিয়ে চলে আসায় তাঁর ভোটের ডিউটির চিঠি রিসিভ করা হয়নি৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সে কথা জেলার নির্বাচনী দফতরকেও জানিয়ে দেন৷
এরপর হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মহাদেববাবু জানতে পারেন উত্তর দিনাজপুরের ইলেকশন দপ্তর থেকে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের কাছে ১১ জনের নামে এফআইআর করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই তালিকার ৬ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই নিজের নাম দেখে আশঙ্কিত হয়ে পড়েন মহাদেববাবু৷ তিনি যোগাযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সঙ্গে৷
মঞ্চের সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, মহাদেববাবু এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি নির্বাচন কমিশন দফতরের অ্যাডিশনাল সিইও বিজিত কুমার ধর এবং ডেপুটি সিইও সুমন্ত রায়ের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন৷
আরও পড়ুন- উবের চেপে ভোট দিতে গেলেই মিলবে ৪০০ টাকা! কারা পাবেন এই সুবিধা?
কিন্তু যথাযথ তদন্ত না করে উত্তর দিনাজপুরের জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের এই এফআইআর করার নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা জানায় শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের দাবি, নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ভালো করে খোঁজ নিক নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে যথাযথ কারণ থাকা সত্ত্বেও বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, সদ্যোজাত শিশুর মা সহ গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অমানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে কমিশন। তাঁরা আরও বলেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে বহু ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধী সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিদের ভোটের ডিউটিতে যেতে বাধ্য করেছে কমিশন। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ম ভাঙছেন বহু ক্ষেত্রেই। এঁদের জীবনের দায় নিতে পারবে কমিশন? প্রশ্ন মঞ্চের৷