উত্তরপ্রদেশ: খুন হোক বা ধর্ষণ, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের মধ্যে অপরাধের বিচারে সবচেয়ে বেশি যে রাজ্যের মুখ পুড়ছে, তা হল উত্তরপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরিচালিত এই রাজ্যের নাম বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে নানা কারণে। সেই ধারা বজায় রেখেই এবার পুলিশ হত্যায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির এনকাউন্টারের খবরও সামনে এল যোগী রাজ্যে।
বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করে দিতে গিয়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল দেবেন্দ্র এবং সাব ইনস্পেক্টর অশোক কুমার। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের মুখোমুখি হন তাঁরা। হামলায় প্রাণ যায় দেবেন্দ্রর। গুরুতর জখম হন অশোক কুমারও। এরপর থেকেই অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছিল যোগী রাজ্যের পুলিশ। রবিবার সকালে কাশগঞ্জ এলাকার সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত মোতি সিংয়ের এনকাউন্টারে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে পলাতক থাকার পর মোতি সিংয়ের বিরুদ্ধে এই সাফল্যকে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবরে জানা গেছে, মোতি সিংয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এনকাউন্টারের আগে তিনি পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি গুলিও চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পলাতক এই দুষ্কৃতীকে ধরার জন্য ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফ থেকে। গোপন সূত্রে সন্ধান পেয়ে এদিন তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বস্তুত, কাশগঞ্জে পুলিশকর্মী হত্যার ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। এমনকি সেই তালিকায় ছিলেন মোতি সিংয়ের মা-ও। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র। শুধু তাই নয়, মোতি সিংয়ের ভাই এলকর সিংকেও পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে দিন কয়েক আগে। পুলিশ কর্মী খুনের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা আবারও প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। তবে দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।