নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় মাস্ক বা মুখাবরণ পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাজারে তো বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের মাস্ক। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে ভালভ যুক্ত মাস্ক পরা যাবে না। কোন মুখাবরণ পরলে কাজ হবে তা নিয়ে এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন ভারতীয় জীবাণু গবেষক সংস্থা সিএসআইআর-এর এক গবেষক।
ফিল্টারিং ফেস পিস, এন ৯৫/এফএফপি: এই ধরনের মাস্ক সাধারণত বায়ুবাহিত ধূলিকণা ও সূক্ষ্ম জলকণা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। ভাইরাস প্রতিরোধে এন ৯৫-এর কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ। সেখানে এফএফপি ৩-এর কার্যক্ষমতা ৯৯ শতাংশ। এফএফপি ২-এর ক্ষেত্রে ৯৪ এবং এফএফপি ১-এর ক্ষেত্রে কার্যক্ষমতা ৮০ শতাংশ। এই ধরনের মাস্ক পাঁচবারের বেশি ব্যবহারযোগ্য নয়। জলে ধোওয়া হলে এর কার্যক্ষমতা কমে যায়।
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় গ্রেফতার দলিত যুবকের ‘হেফাজতে’ মৃত্যু, অন্য তত্ত্ব পুলিশের
সার্জিক্যাল মাস্ক: বড় জলকণা এবং দেহ বর্জিত বিপজ্জনক তরলের থেকে সুরক্ষা দেয়। এগুলি মাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য। এর কার্যক্ষমতা ৯৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দৈনিক গড়ে ১ জন পড়ুয়া আত্মহত্যার শিকার! জানাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট
কাপড়ের মাস্ক: এগুলি বাজারে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে। এই ধরনের মাস্ক তুলনামূলক ছোট জলকণা ও বায়ুবাহিত ধুলোবালি থেকে আংশিক সুরক্ষা দেয়। এর সুরক্ষা মাত্রা নেই বললেই চলে। এটি বারেবারে ব্যবহার করা যায়, তবে গরম জলে প্রতিবার ব্যবহারের পর ধুয়ে নিতে হবে। তবে সব কিছুরই মেয়াদ ফুরোয়, দীর্ঘদিন ব্যবহার যোগ্য নয় এটিও। তবে মাস্ক না পরার থেকে কাপড়ের মাস্ক পরা ভাল বলে জানাচ্ছেন গবেষক। তিনি বলছেন, মুখে রুমাল, গামছা, ওড়না ইত্যাদি কখনও ভাল সুরক্ষাকবচ নয়।
ভালভ যুক্ত মাস্ক ব্যবহার ঠিক নয়। গবেষকরা বলছেন, এতে ভালভের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা থাকে, যা অসুস্থ রোগী ব্যবহার করলে তার শ্বাস প্রশ্বাস থেকে নির্গত জীবাণু ছড়িয়ে পরে বাতাসে। মাস্ক পরার আগে অবশ্যই সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নেওয়া জরুরি। মাস্ক ছিঁড়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে কোনভাবেই তা ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্যবহার করা মাস্কে বারবার হাত দেওয়া উচিত নয়, খুব দরকার হলে আগে হাত ধুয়ে মাস্ক ধরতে হবে এবং তারপর আবারও হাত ধুয়ে নিতে হবে। কোনওভাবেই মাস্কের সামনের অংশে হাত দেওয়া ঠিক নয়। অন্যের মাস্কে হাত দেওয়া কিংবা মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে কথা বলার থেকে বিরত থাকতে বলছেন গবেষকরা।