নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে ক্রমেই। কিন্তু চেষ্টার ত্রুটি নেই সরকারের। সচেষ্ট রয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাবানেও। তাঁর তরফে ফিল্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাত্র ছ'ঘণ্টার নোটিসে ৪৫টি আইসোলেশন বেড এবং ১০টি আইসিইউ বেডের বন্দোবস্ত করার জন্য তারা যেন প্রস্তুত থাকে। সেগুলি শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজেই ব্যবহৃত হবে। শুক্রবার এমনই আশাব্যঞ্জক নির্দেশ শোনা গেল সেনাপ্রধানের কথায়।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের সেনাপ্রধান করনার ভয়াবহ প্রকোপের কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অঙ্গীকারও শোনা যায় তাঁর মুখে। এমনিতেই সেনা ফিল্ড হাসপাতালের প্রায় ৩০ শতাংশ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, 'আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' সংক্রমণের মোকাবিলায় কুইক রিয়্যাকশন মেডিক্যাল টিম (কিউআরএমটি) জরুরিকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মনোজ মুকুন্দ নারাবানে। এর আগেও এরকম জরুরি পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল এবং সেখানেও সাফল্য পেয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সুতরাং এবারও অন্যথা হবে না। উদাহরণস্বরূপ 'অপারেশন নমস্তে'র সাফল্যের কথাও বলেন সেনাপ্রধান।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'আপনারা সবাই জানেন, করোনা ভাইরাস শুধু আমাদের দেশে নয়, বরং গোটা দুনিয়ায় সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সরকার একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। যেগুলি মেনে চলা খুব প্রয়োজন। এই লড়াইয়ে সরকার এবং প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করা আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য হওয়া উচিত। সেনাপ্রধান হওয়ার কারণে সবার আগে সেনাবাহিনীকে সুরক্ষিত রাখা আমার কর্তব্য। কারণ আমরা তখনই আমাদের কর্তব্য পালন করতে পারব, যখন আমরা নিজেরা সুরক্ষিত থাকব, করোনা ভাইরাস থেকে আমরা দূরে থাকতে পারব।'
এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারি নির্দেশগুলি যে সেনাবাহিনীপক্ষে সবসময় পালন করা সম্ভব হয় না, তার পেছনেও রয়েছে দেশবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থ। তিনি বলেন, 'আমি এটাও জানি যে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হয়। খুব কাছাকাছি থাকতে হয় আমাদের। এলএমজি ১ এবং ২ একজন অন্যজনের থেকে দূরে থাকতে পারে না। একইভাবে ট্যাঙ্কের ক্রু যাঁরা, তাঁরা একসঙ্গেই থাকবেন। তা সত্ত্বেও আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, আমাদের সুস্থ থাকতে হবে এবং ফিট থাকতে হবে।'