করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমলেও এখনও মুক্তি মেলেনি। করোনা-আতঙ্ক কমলেও বহু জায়গাতেই করোনার কবলে পড়ছেন অনেকে। এর মধ্যেই আরও এক ভয়ংকর ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্ব জুড়ে! নতুন মারণ ভাইরাসের ভয়াবহতার কথা এরই মধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রোগের নাম ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার’ অর্থাৎ সিসিএইচএফ।
জানা যাচ্ছে, এই মারণ ভাইরাসের চিকিৎসা কঠিন, নেই কোনও টিকা। কবলে পড়া প্রতি দ্বিতীয় ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। এই তথ্য ভয় ধরাচ্ছে রীতিমত। বিশ্বব্যপী ভয় ধরানো এই রোগটি ভাইরাসবাহিত। পোকামাকড়ের কামড়ে এই রোগ প্রাণীদের মধ্যে ছড়ায়। আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শ এলে মানুষের মধ্যেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। করোনার মতো এই রোগেও গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা যায়।
- সিসিএইচএফ- রোগের উপসর্গ: রোগের উপসর্গ হল, নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হওয়া, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচন্ড জ্বর। অতিরিক্ত রক্তপাত আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ডেকে আনছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই জ্বরে মৃত্যুর হার প্রায় ৪০ শতাংশের মতো। চিকিৎসাও কঠিন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এই ধরনের জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে।
সিসিএইচএফ- মূলত টিকা-বাহিত রোগ। টিক এক ধরনের পরজীবী কীট। যারা স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, কখনও কখনও সরীসৃপ এবং উভচরদের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক টিক দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩ থেকে ৫ মিলিমিটার হয়। গরম বাড়লে টিক অর্থাৎ পরজীবীদের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বর্তমানে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ধরনের কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাবও।
জ্বরে প্রথম আক্রান্তদের খোঁজ মেলে পূর্ব ইউরোপে। ফ্রান্সেও বহু মানুষ এই জ্বরের কবলে পড়েছেন। ব্রিটেন, নামিবিয়াতেও মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই এখনই এই জ্বরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে, শীঘ্রই তা মহামারির আকার নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে সময় থাকতেই সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা…