আগামী বছরে হবে করোনা টিকা দেওয়ার কাজ, আশাবাদী মার্কিন বিজ্ঞানী

বিশ্বজুড়ে ক্রমশ উদ্বেগের দিকে যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সমস্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশের গবেষকরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, রাশিয়া ও চিন প্রতিষেধক আবিষ্কার করার রাস্তায় অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের শুরু হবে। ট্রায়াল সফল হলে তবেই এই প্রতিষেধকের ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এই পরিস্থিতির মধ্যে আরও এক নতুন তথ্য জানালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি।

820779f45467e3ef24d287ec283f52af

 

ওয়াশিংটন: বিশ্বজুড়ে ক্রমশ উদ্বেগের দিকে যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সমস্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশের গবেষকরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, রাশিয়া ও চিন প্রতিষেধক আবিষ্কার করার রাস্তায় অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের শুরু হবে। ট্রায়াল সফল হলে তবেই এই প্রতিষেধকের ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এই পরিস্থিতির মধ্যে আরও এক নতুন তথ্য জানালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি।

বুধবার তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বিশ্ব থেকে করোনা ভাইরাস নির্মূল করা সম্ভব হবে না। কিন্তু একে আয়ত্তে আনা যাবে। করোনা ভাইরাস সবচেয়ে মারাত্মক কারণ এটি একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি মানুষ সংক্রমিত হয়। আর যার প্রমাণ এখন দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এছাড়া মেক্সিকো, রাশিয়া সহ অনেক দেশেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

আরও পড়ুন: চিনা ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে মানুষ মারার ভাইরাস, দাবি নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর

এই পরিস্থিতিতে অ্যান্টনি ফাউসি জানিয়েছেন তিনি মনে করেন না এই ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব। তবে যদি সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হয় এবং বিশেষজ্ঞরা যেভাবে বলছেন সেভাবে মাস্ক ব্যবহার করা হয় তাহলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তবে এই ভাইরাস সম্পূর্ণ আয়ত্তে আসবে প্রতিষেধক আবিষ্কারের পর। তিনি এও বলেন ২০২১ সালের মধ্যে সম্ভবত টিকা পেয়ে যাবে বিশ্ববাসী। প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে অবশ্যই কিছুটা সময় লাগছে। কিন্তু সুখবর আসতে বেশি দেরি নেই।

ফাউসি আরও জানিয়েছেন রাশিয়া ও চিনের ভ্যাকসিন মানবদেহে আরও বেশি করে পরীক্ষার প্রয়োজন। যদিও রাশিয়া দাবি করেছে তারা করোনা ভ্যাকসিন গণহারে প্রয়োগের পরিকল্পনা শুরু করেছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর হবে বলে মন্তব্য করেন ফাউসি। সব ঠিক থাকলে এ বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিন বাজারে এসে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফাউসি আরও বলেন বিশ্বের অন্য কোন দেশে যেভাবে গবেষণা চলছে করোনা ভ্যাকসিনের, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ঠিক একইভাবে গবেষণা চালাচ্ছে। তার মনে হয় না অন্য কোন দেশের উপর করোনা ভ্যাকসিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে নির্ভর করতে হবে। তারণ তারাও দ্রুত প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *