নয়াদিল্লি: মোদী সরকারের অন্যতম ড্রিম প্রোজেক্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুরন্ত গতিতে ছুটছে এই সেমিহাই স্পিড ট্রেন৷ রেলের লক্ষ্য, এর জনপ্রিয়তায় যেন ভাঁটা না পড়ে৷ যাত্রী চাহিদা যদি কমে তাহলে সংশ্লিষ্ট রুটে কমানো হবে বন্দে ভারতের ভাড়া। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি৷ তবে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন রেল কর্তারা। তবে বাংলার কপালে শিকে ছিড়বে না এখনই৷ ভাড়া হ্রাসের সম্ভাবনা নেই এ রাজ্যে৷ ফলে বাংলার যাত্রীদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনও কারণ থাকছে না। এই মুহূর্তে বাংলার তিনটি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলে। হাওড়া-এনজেপি, গুয়াহাটি-এনজেপি এবং হাওড়া-পুরী। তিনটি রুটেই ট্রেন চলছে রমরমিয়ে৷
দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল- উভয়ের পক্ষ থেকেই স্পষ্ট জানানো হয়েছে, হাওড়া-পুরী ও গুয়াহাটি-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে৷ ফলে যাত্রী টানতে আপাতত ভাড়া কমানোর কোনও পরিকল্পনাই নেই৷ পাশাপাশি পূর্ব রেলও জানিয়েছে, হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ‘অকুপেন্সি’ ১০০ শতাংশেরও বেশি। বিশেষ করে পুজোর টিকিটে ওয়েটিং লিস্ট ২৩৩ নম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। যার অর্থ, এই রুটে বন্দে ভারত জনপ্রিয়তা হারায়নি। তাহলে যাত্রীভাড়া হ্রাসের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কোন রুটের বন্দে ভারত ট্রেনগুলিকে নিয়ে পর্যালোচনায় বসেছে রেলমন্ত্রক? সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, ‘অকুপেন্সি’ কম থাকলেই এই স্ক্যানারে নিয়ে আসা হচ্ছে। যেমন তালিকায় রয়েছে ইন্দোর-ভোপাল, ভোপাল-জব্বলপুর, নাগপুর-বিলাসপুরের মতো কয়েকটি রুটের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।