নয়াদিল্লি: সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু গোটা দেশ৷ প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়৷ তার উপর তৈরি হয়েছে অক্সিজেনের সঙ্কট৷ এই পরিস্থিতিতে করোনা সতর্কতা জারি করল সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক৷ ইউনিসেফ এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই আরও একবার নেট নাগরিকদের সতর্ক করল মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা৷ যে চারটি বিষয়ের উপর মূলত জোড় দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
আরও পডুন- ২৭ বছর পর ভাঙল ঘর, বিবাহিত সম্পর্কে ইতি বিল ও মেলিন্ডা গেটসের
• বাইরে বেরতে হলে ঠিক মতো মাস্ক পরতে হবে৷
• কোনও রকম লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে চেলে যেতে হবে৷
• ভয় বা উদ্বেগের কারণ নেই৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোভিড ১৯-এর চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব৷
• অবিলম্বে ভ্যাকসিনের জন্য নাম রেডিস্টার করুন এবং আপনার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করুন৷
কেন এগুলি গুরুত্বপূর্ণ? বলা হচ্ছে, একমাত্র এই পন্থাগুলি অবলম্বন করেই সংক্রমণ রোখা সম্ভব৷ এই পথেই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে৷
বাড়ি থেকে বেরলে আমাদের করণীয় কী?
• বাড়ি থেকে বেরনোর সময় যেন নাক, মুখ ও চিবুক ঢাকা থাকে৷
• হাসপাতাল বা জনবহুল জায়গায় গেলে ডবল মাস্ক পরুন৷
• বাড়িতে থাকলেও নিয়মিত ভাবে হাত ধুতে হবে এবং প্রয়োজনে মাস্ক পরতে হবে৷ বিশেষ করে বাইরে থেকে আসা কোনও ডেলিভারি নেওয়ার সময় বা কোনও অজানা মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়৷
কোভিড লক্ষণ দেখা দেলে কী করতে হবে?
• কোনও রকম লক্ষণ দেখা দিলেই টেস্টের জন্য অপেক্ষা নয়৷ অবিলম্বে নিজেকে আইসোলেট করতে হবে৷ যাতে অন্য কারও মধ্যে সংক্রমণ না ছড়ায়৷
• যদি বাড়ির ভিতরে আইসোলেশনে থাকার কোনও উপায় না থাকে তাহলে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে৷
কোভিডের লক্ষণগুলি কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোভিডের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
• জ্বর
• শুষ্ক কাশি
• ক্লান্তি
• স্বাদ বা গন্ধ চলে যাওয়া
• নাক বন্ধ হওয়া
• কনজাংটিভাইটিস (চোখ লাল হওয়া)
• গলা ব্যথা
• মাথা যন্ত্রণা
• পেশী বা গাঁটে ব্যথা
• বিভিন্ন ধরনের স্কিন ব়্যাশ
• বমি ভাব
• ডায়রিয়া
• ঠাণ্ডালাগা বা মাথা ঘোরা
এর মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ সঠিক ওষুধ খেতে হবে৷ তবে ভয় পেলে চলবে না৷ ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব কোভিডের৷ ছয় ঘণ্টা অন্তর অন্তর অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখতে হবে৷