ডিসিআরসি কেন্দ্রে চরম অব্যবস্থা, মৃ্ত্যু ভোটকর্মীর, অসুস্থ আরও এক

ডিসিআরসি কেন্দ্রে চরম অব্যবস্থা, মৃ্ত্যু ভোটকর্মীর, অসুস্থ আরও এক

 

আসানসোল: আসানসোলে ডিসিআরসি কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক ভোটকর্মীর৷ অসুস্থ আরও এক৷ ভোটের আগে আজ ডিসিআরসি কেন্দ্রে এসে অসুস্থ বোধ করেন অসীমা মুখোপাধ্যায় নামে এক ভোটর্মী৷ সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁক মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিসিআরসি কেন্দ্রের ঘটনা৷ 

আরও পড়ুন- পা সেরে গিয়েছে, খুব শীঘ্রই প্লাস্টার কাটবে! জানালেন মমতা

জানা গিয়েছে রূপনারায়ণপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন অসীমা মুখোপাধ্যায়৷ বয়স ৪৫৷ বাড়ি অন্ডালে৷ আজ আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিসিআরসি-তে যখন কাজ চলছিল সেই সময় অসুস্থ বোধ করেন অসীমাদেবী৷ ডিসিআরসি-তে উপস্থিত ভোটকর্মীরা জানাচ্ছেন, বিপুল পরিমাণ মানুষের জমায়েতে সেই সময় দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল৷ সেই সময়ই অসুস্থ বোধ করেন অসীমাদেবী৷ উল্লেখ্য এখানে কোভিড প্রোটোকল একেবারেই মানা হচ্ছিল না৷ এমনকী  কোনও মেডিক্যাল টিম বা অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি৷ উপস্থিত ভোটকর্মীরা নিজেদের উদ্যোগে পুলিশকে ডেকে অসীমাদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন৷ কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের তরফে করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও জানানো হয়েছে৷ 

অন্যদিকে, এই ডিসিআরসিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক মহিলা ভোটকর্মী৷ তাঁর ক্ষেত্রেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ মেডিক্যাল টিম এসে পৌঁছয় দীর্ঘ সময় পর৷ জানা গিয়েছে, তাঁর কোমড়ে সমস্যা রয়েছে৷ এবং সেই কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ চিকিৎসকরা আসার পর তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এই দুটি ঘটনায় ডিসিআরসি কেন্দ্রে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য ভোট কর্মীরা৷ 

আরও পড়ুন- কাজল সিনহার মৃত্যু, শকুনের ছবি পোস্ট করে কমিশনের সমালোচনায় তৃণমূল

তাঁদের বক্তব্য, এখানে চরম অব্যবস্থা৷ কোনও মেডিক্যাল ইউনিট নেই৷ কোনও ভাবেই কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না৷ সংশ্লিষ্ট ব্লকের যে কর্মীরা কাজ করছেন, তাঁরা নিজেরাই কোভিড বিধি মানেননি৷ এমনকী খাবার জলের বন্দোবস্তও নেই এখানে৷ প্রচণ্ড গরমে নেই প্রয়োজনীয় ফ্যান৷ বিকেল হতে চললেও  কোনও জিনিস তাঁরা হাতে পাননি৷ মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর করোনা অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে ইলেকশন কমিশনের পরিচালনায় ভোট নামক অস্ত্রের সাহায্যে এই মানব নিধনযজ্ঞ এখনই বন্ধ হোক৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *