লোনক হ্রদে বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল ইসরো, সমীক্ষাতেও মিলেছিল সিকিমে বিপদের ইঙ্গিত

লোনক হ্রদে বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল ইসরো, সমীক্ষাতেও মিলেছিল সিকিমে বিপদের ইঙ্গিত

ISRO

বেঙ্গালুরু: হ্রদ ফাটা ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম৷ এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ শতাধিক। খোঁজ মিলছে না  বহু সেনা জওয়ানের। মঙ্গলবার লোনক হ্রদ ফেটে সিকিমে ভয়াবহ বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ সেই ছূি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রেও৷ বিজ্ঞানীরী জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে ‘গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড’ (জিএলওএফ)। তবে সিকিম যে দুর্যোগের মুখে দাঁড়িয়ে সে সম্পর্কে অতীতে বহু বার সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গত এক দশক ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং গবেষকরা সিকিমে হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদ ফেটে মারাত্মক বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে আসছে। একই ভাবে সাবধানবাণী করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও। কিন্তু, সেই সতর্কতায় আমল দেওয়া হয়নি৷ (ISRO)

জিএলওএফ কী? যখন কোনও হিমবাহ গলা জলে সৃষ্ট হ্রদে অতিরিক্ত জল জমার কারণে বা ভূমিকম্পের মতো কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফেটে যায়, তখনই জিএলওএফ তৈরি হয়৷ গবেষকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সিকিমের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দক্ষিণ লোনক হ্রদ ১৪টি বিপজ্জনক হ্রদের মধ্যে একটি৷ যেকোনও সময় সেখানে জিএলওএফ হতে পারে৷ 

২০১২-’১৩ সালে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এবং ইসরোর সমীক্ষায় লোনক হ্রদ সংক্রান্ত বিভিন্ন ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। হ্রদ ফেটে বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল ওই সমীক্ষায়৷ বলা হয়েছিল হ্রদ ফাটার সম্ভানা রয়েছে ৪২ শতাংশ৷ 

 

 

২০২১ সালেও উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে কেউ কখনও  সেভা মাথাই ঘামায়নি। তবে আশঙ্কার সত্যি হল৷ বুধবার লোনক হ্রদ ফেটে হড়পা বানে ভাসল সিকিম৷ বিপন্ন ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *