আদালতের নির্দেশে পুলিশি পাহারায় মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় হামলা, ভাঙড়ে গুলিতে মৃত ISF কর্মী

আদালতের নির্দেশে পুলিশি পাহারায় মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় হামলা, ভাঙড়ে গুলিতে মৃত ISF কর্মী

 কলকাতা:  পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন নিয়ে অশান্তির আবহে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছেন, তাঁদের এসকর্ট করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন করাতে হবে কলকাতা পুলিশকে।  আদালতের নির্দেশ ছিল, ভাঙড়, ক্যানিং, কাশীপুর, বসিরহাট-সহ বিভিন্ন এলাকার পঞ্চায়েত প্রার্থী, প্রস্তাবক ও সমর্থকদের এসকর্ট করে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে হবে। সেই মতো, ভাঙ্গর ও কাশিপুর থানা থেকে প্রার্থীদের নিয়ে  মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিল পুলিশ৷ সেই সময় শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশের সঙ্গে থাকা বিরোধী প্রার্থীদের দলকে ঘিরে ধরে  দুষ্কৃতীরা। এর পর প্রার্থীদের উপরে হামলা চালানো হয়৷ চলে গুলি। মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয় মহিউদ্দিন নামে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আই এসএফএ) প্রার্থীর। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ আহতদের মধ্যে রয়েছে দুই তৃণমূল কর্মীও৷  তার মাঝে কিছু প্রার্থী গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। 

তৃণমূল এবং আইএসএফ-এর বোমা এবং গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক আইএসএফ কর্মীর। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে গুলি চালানোর। তার জেরেই মৃত্যু হয় মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মীর। এদিকে, সংঘর্ষের পর বিজয়গঞ্জ বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। শেষ দিনও একই ছবি৷