জলপাইগুড়ি: এক সময় শিক্ষকতা করতেন৷ এখন অবসর জীবন৷ সাধ হয়েছিল একটি সেক্স টয় কেনার৷ কিন্তু ভাবতেও পারেননি সাধ মেটাতে গিয়ে ঘটি-বাটি বেঁচতে হবে তাঁকে৷ পুতুল ঘরে আনতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক৷ প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে খোয়ালেন ৩৭ লক্ষ টাকা৷ তবে পুলিশি তৎপরতায় আপাতত শ্রীঘরে প্রতারক৷
আরও পড়ুন- করোনা আবহে লাফিয়ে বাড়ছে জীবনদায়ী ওষুধের দাম, দুশ্চিন্তায় মধ্যবিত্ত
ঘটনার সূত্রপাত বছর দুই আগে৷ শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটে গিয়েছিলেন বেলাকোবার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক৷ সেখানেই একটি দোকানে সেক্স টয় দেখতে পান তিনি। দরদামও করেন। দোকানদার জনান, সেক্স টয়টির দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকা৷ দেখে পছন্দ হওয়ায় ওই পুতুলের কয়েক হাজার টাকা তৎক্ষণাৎ অগ্রিমও দিয়ে দেন তিনি। কথা হয়েছিল সেক্স টয়টি ওই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পর তিনি পুরো টাকা শোধ দেবেন৷
কিন্তু এরই মাঝে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে৷ ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, সেক্স টয়টি তাঁর বাড়িতে পৌঁছনের পথে তা আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশের হাতে পড়েছে৷ এর পর নিজেকে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন৷ সেক্স টয় কেনার অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন৷ সেই সঙ্গে তিনি প্রস্তাব দেব, গ্রেফতারি এড়াতে হলে কিছু টাকা দিতে হবে৷ ওই পুলিশ অফিসারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় শিক্ষক৷
এর পর ২ লক্ষ টাকা দেন তিনি৷ কিন্তু এর পরেও ওই পুতুল তাঁর হাতে আসেনি৷ বরং বারবার ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ ভয় দেখানো হয়েছে৷ এই ভাবে ছলেবলে তাঁর থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়৷ অবশেষে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষক৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ খবর চালিয়ে শিলিগুড়ির এক পানশালার মালিককে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম পবন দাস বলে জানা গিয়েছে। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ৷