মুম্বই: দেশ জুড়ে পেট্রোল ডিজেলের মতো জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল মানুষ। মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা লাগাচ্ছে রান্নার গ্যাসও। এমতাবস্থায়, সাধারণ মানুষের জন্য ফের আসতে চলেছে নয়া দুঃসংবাদ। দেশ জুড়ে বাড়তে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ পত্রের দামও।
আগামী মাস থেকেই পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিইনফেকটিভ, কার্ডিয়াকের মতো সাধারণ অতি দরকারি ওষুধ গুলির চেনা দাম বেড়ে যেতে পারে, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্রের খবরে। সরকারের তরফে বার্ষিক পাইকারি মূল্যের পরিবর্তনের (wholesale price Index) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রেতাদের ওষুধের দাম বৃদ্ধির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী মাস থেকেই বেড়ে যেতে পারে ওষুধের দাম। এ ব্যাপারে ওষুধের দাম নির্ধারক সংস্থা ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি একটি বিবৃতির মাধ্যমে শুক্রবার জানিয়েছে, ২০২০ সালে সরকার নির্দেশিত ওষুধের পরিবর্তিত পাইকারি মূল্য ০.৫% হারে কাজ করছে। ওষুধের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনায় নতুন করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের কপালে।
ঠিক কতটা বাড়বে ওষুধের দাম? বস্তুত , ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছরই নির্দিষ্ট হারে বৃদ্ধি পায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের মূল্য। কিন্তু এবার নানা কারণে ওষুধ প্রস্তুতির খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন নির্মাতা সংস্থারা। ফলে প্রতি বছরের মতো ১৫ শতাংশের জায়গায় এবার এক ধাক্কায় ২০% দাম বাড়ানো হবে ওষুধ পত্রের, সূত্রের খবরে জানা গেছে তেমনটাই।
এ ব্যাপারে এক নির্মাতা সংস্থার আধিকারিকের কথায়, “যে হারে ওষুধের দাম বছর বছর বাড়ানো হয়, আমাদের মনে হয় সেটা খুবই কম। বিশেষত, অতিমারী পরিস্থিতিতে আমাদের ওষুধ প্রস্তুতির কাঁচামাল জোগাতে খরচ বেড়ে গেছে অনেকটাই। তাই আমরা সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধির আবেদন জানাবো ঠিক করেছি।” উল্লেখ্য দেশ জুড়ে ফের দেখা দিয়েছে করোনার সংক্রমণের কাঁটা। টিকাকরণের মাঝেও সংক্রমণের গ্রাফটা উর্দ্ধমুখী।