নয়াদিল্লি: করোনা রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর দু'লক্ষেরও বেশি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের ইপিএফে সঞ্চয় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্ট মাসে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫০০টি সংস্থা আবার এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে অনুদান দেওয়া শুরু করেছে৷ এর থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি আবার ছন্দে ফিরছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও এর তথ্যে দেখা গিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের মোট ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৭ টি সংস্থা তাদের কর্মীদের ইপিএফ অ্যাকাউন্টে অনুদান জমা করেছিল। এরপর ২৫ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর এই সংখ্যা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৭৩টি৷ সুতরাং লকডাউনের পর ২ লক্ষ ১৬ হাজার ২৬৪ টি সংস্থা তাদের কর্মীদের ইপিএফ জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু ইপিএফও এর তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, আগস্ট মাস থেকে আবারও দেশের দেড় লক্ষ সংস্থা তাদের ইপিএফ জমা দিতে শুরু করেছে। বর্তমানে কেবলমাত্র ৬৪ হাজারের মতো সংস্থা এখনও তাদের ইপিএফ জমা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।
ইপিএফও-র এক পদস্থ আধিকারিক মন্তব্য করেছেন, আগস্ট মাসে দেড় লক্ষেরও বেশি ইপিএফ জমা দেওয়ার নজির থেকে স্পষ্ট হয়, দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে আবার তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। নীতি অনুযায়ী, কোনও সংস্থার কর্মী সংখ্যা ২০ জন অথবা তার বেশি হলে, সেই সংস্থাকে বাধ্যতামূলক ভাবে ইপিএফ জমা দিতে হয়। এক্ষেত্রে ওই সংস্থার কর্মীর বেতনের ১২ শতাংশ অর্থ ও সংস্থাকে নিজের ১২ শতাংশ অর্থ একত্রিত করে, প্রত্যেক মাসে কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করতে হয়। চাকরি ছেড়ে দিলে এই টাকা কর্মী এককালীন পেয়ে যান। যদিও শর্তাবলী মেনে কর্মী চাইলে আগেও এই টাকা তুলে নিতে পারেন।