ফের কমতে পারে EPF সুদের হার! মাথায় হাত ৬ কোটি গ্রাহকের

ইপিএফ-এর সুদের হার কমার সম্ভাবনা৷ শ্রীনগরে শ্রমমন্ত্রকের বৈঠক৷

 

শ্রীনগর: করোনা পরবর্তী দেশের অর্থনীতি যে খুব একটা ভালো জায়গায় নেই তা বলাই বাহুল্য। জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস, দিন দিন দাম বাড়ছে সবকিছুরই। মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে এবার ইপিএফ-এর সুদের হারও ফের কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। 

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড তথা ইপিএফ-এর বার্ষিক সুদের হার বর্তমানে বেশ কম। আগামী দিনে তা আরো কমতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ৪ মার্চ বসতে চলেছে শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অছি পরিষদের বৈঠক। জানা গেছে, শ্রীনগরে আয়োজিত ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত করা হবে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের জন্য ইপিএফের সুদের হার। বিশেষজ্ঞদের মতে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যে সুদের হার চলে আসছিল তা আরো কমানো হতে পারে এই বৈঠকেই।

বস্তুত, বর্তমানে ইপিএফ-এর বার্ষিক সুদের হার ৮.৫%। গত ৭ বছরে এটাই সর্বনিম্ন। এরপর যদি আরো কমে যায়, তবে ইপিএফ সুদ রেকর্ড গড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি গ্রাহক রয়েছেন যাঁরা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবহার করে থাকেন। সুদের হার কমলে যে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তা বলাই বাহুল্য। তবে এ প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রকেরও হাত পা বাঁধা বলেই দাবি করা হয়েছে। তাঁদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী মূলত করোনা অতিমারীর প্রভাবই পড়ছে ইপিএফ সুদের পরিমাণে। 

শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা কালে লকডাউন ও তার পরবর্তী সময়ে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে। আশঙ্কা, চলতি অর্থবর্ষের শেষে এই পরিমাণ হয়ে দাঁড়াবে ৮০ হাজার কোটির কাছাকাছি। ফলে প্রত্যাশিত সুদের পরিমাণ কমে যাচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ইপিএফওর অছি পরিষদের সদস্য রমেন্দ্র কুমার কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্ষতি করে কর্পোরেট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। সুদের হার কমানো হলে কড়া বিরোধিতা করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 12 =