বেঙ্গালুরু: প্রায় তিন বছরের নিরলস পরিশ্রম শেষে শুক্রবার সফল উৎক্ষেপণ করা হয় ইসরোর ‘চন্দ্রযান-৩’৷ দুপুর ২টো ৩৫ এ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়৷ ইসরোর এই চন্দ্রাযাত্রায় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করেছেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখ্য রাঁচীর ‘হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন’ (এইচইসি) সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার, পদস্থ অফিসার থেকে সাধারণ কর্মীরা। ‘চন্দ্রযান-৩’-এর উৎক্ষেপনে তাঁদের ভূমিকা কিছু অংশেই নয়। অথচ গত ১৭ মাস ধরে বিনা পারিশ্রমিকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন তাঁরা৷ বার বার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি৷ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনা বেতনে কাজ করে চলেছেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের অধীনস্থ ওই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা। তবে নিজেদের কাজ ও দায়িত্ব পালনে কোনও খামতি রাখেননি তাঁরা। প্রসঙ্গত, রাঁচীর ওই রাষ্ট্রীয় অধীনস্থ সংস্থা থেকেই ‘চন্দ্রযান-৩’ উৎক্ষেপণের ‘লঞ্চিং প্যাড’ সহ নানা ধরনের জটিল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই ধুঁকছে এইচইসি সংস্থাটি। গত ৩ বছর ধরে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন ওই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই সংস্থার পরিস্থিতি খানিকটা কেন্দ্রীয় টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের মতো৷ ওই কোম্পানিরই প্রায় তিন হাজার ইঞ্জিনিয়ার থেকে কর্মীরা গত ১৭ মাস ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে চলেছেন৷