নয়াদিল্লি: ক্রমশ বাড়ছে বেকারত্বের সমস্যা, একথা অবশেষে মেনে নিল কেন্দ্র সরকার। করোনা আবহে দেশের পর্যটন শিল্পে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ২ থেকে ৫.৫ কোটি মানুষ। পরিবহন শিল্পের ক্ষেত্রেও সংখ্যাটা একই রকম। সিএমআইয়ের এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, লকডাউনের আগের অবস্থার থেকে বেকারত্বের সংখ্যা বর্তমানে বেড়েছে।
১৬ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বেকারত্বের হার ৯ শতাংশ বেড়েছে। পর্যটন, পরিবহন ও বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত সরকারি স্থায়ী কমিটিগুলির বৈঠক ছিল সোমবার৷ পর্যটন সচিব যোগেন্দ্র ত্রিপাঠি সেখানে জানিয়েছেন, পর্যটন শিল্পে ভয়াবহ ভাবে বেকারত্ব দেখা দিয়েছে করোনা আবহে। এক্ষেত্রে ২ থেকে ৫.৫ কোটি মানুষ বেকার হয়েছেন। রাজস্বের ক্ষতির হিসাবে দেখা গিয়েছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা৷ এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেই পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে একত্রে একটি পরিকাঠামোর মধ্যে আনতে চায় কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার এই বিষয়ে পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের সচিব পি এস খরোলাও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বিমান পরিষেবা চালু হলেও আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমতে পারে। জাতীয় পরিষেবাতেও অর্ধেক বিমান চলাচল করবে৷ যদিও তিনি বিমান পরিবহনের ক্ষতির নির্দিষ্ট সংখ্যার হিসাব দেননি, কিন্তু তবুও তাঁর কথা থেকেই বিমান পরিষেবার সঙ্গিন ছবিটা ফুটে উঠেছে৷ সিএমআই এর পরিসংখ্যানেও এই একই ছবি দেখা গিয়েছে৷
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রামে বেকারত্বের হার ৮.৮৬ শতাংশ এবং শহরে সেই সংখ্যা ৯.৬১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৬ আগস্ট সপ্তাহ শেষে এই পরিসংখ্যান করা হয়েছে। যেখানে ৭ দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮.৩৭ ও ৯.৩১ শতাংশ। সামগ্রিক ভাবে গোটা দেশে এই ৭ দিনে বেকারত্বের হার ৮.৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.১ শতাংশে ঠেকেছে। আনলক পর্বে এপ্রিল ও মে মাসে এই হার কিছুটা কমলেও বর্তমানে তা আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, যা ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়েছে।