টিকা নেওয়ার দিন চাই ছুটি! সরকারের কাছে আবেদনের ভোট কর্মীদের

ছুটি না থাকায় টিকা নেওয়ার দিন বাড়তি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ

4f1b6bdf02300233ed983dffb4332e20

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেজে গেছে ভোটের দামামা। এখনও পর্যন্ত ভোট নির্ঘন্ট ঘোষণা করা না হলেও একুশের মহারণ যে আর খুব বেশি দূরে নেই, তা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপের আবহে। ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গেছে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াও। কিন্তু কমিশনের নানা কার্যপদ্ধতি এবং রাজ্য সরকারের নিয়মনীতি নিয়ে শিক্ষা মহলে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তাঁদের টিকাকরণ প্রক্রিয়াও। বেশ কিছুদিন ধরেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টিকা নিচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মীরা। কিন্তু টিকা নেওয়ার ওই নির্দিষ্ট দিনটিতে কর্মীদের অন ডিউটির ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষা মহলে ক্ষোভের  সৃষ্টি হয়েছে। অন ডিউটি না থাকায় কর্মীদের ডিউটি অবস্থায় কিংবা ছুটি নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে যেতে হচ্ছে। আর তা মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না শিক্ষাকর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অবিলম্বে কর্মীদের টিকা নেওয়ার দিন অন ডিউটি ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমরা দাবি করছি ভ্যাকসিন গ্রহণ করার দিন প্রতিটি ভোট কর্মীকে অন ডিউটি দেওয়া হোক। ইতিমধ্যে দিল্লি সরকার অন ডিউটির ঘোষণা করেছে। আমাদের রাজ্যেও দ্রুত এই নির্দেশিকা জারি করা হোক।” উল্লেখ্য, টিকা নিলে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে ছাড়া পাওয়া যায় না, বরং গ্রাহককে বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখাই নিয়ম। এমতাবস্থায় ভোট কর্মীদের প্রতি হয়রানির প্রতি নজর দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে সরকারি কাজে রত স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা গ্রহণের সময় অন ডিউটি ছুটির নির্দেশ জারি করা হয়েছে গত ২০ ফেব্রুয়ারি। সরকারের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে টিকা নেওয়ার দিন কোনো কর্মীকে কাজে যোগ দিতে হবে না। তাঁকে ওই দিন অন ডিউটি অর্থাৎ কর্তব্যরত হিসেবেই ধরে নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গেও সেই ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *