কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নয়া উত্তাপ যোগ করেছে শিক্ষা মহল। দিকে দিকে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের অসন্তোষ রীতিমতো চিন্তায় রেখেছে শাসকদলকে। আর তার সুযোগ নিয়ে দেদার সমালোচনায় সামিল হয়েছে বিরোধীরাও। এমতাবস্থায় সরকার পক্ষের অস্বস্তি বাড়িয়ে গতকাল ফের বিকাশভবন অভিযান করেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ একাধিক। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এই অসন্তোষের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। কখনো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, কখনো বা বেতন কাঠামো কিংবা বদলি বিলম্ব নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন শিক্ষা মহলের সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মচারী। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় চলছে বৈঠকও। আর একুশের নির্বাচনের আগে শিক্ষামহলের এই বিক্ষোভ যেন বেড়ে গেছে বেশ খানিকটা।
গতকাল শুধু বিকাশ ভবনেই নয়, মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদেও অভিযান চালান সমিতির সদস্যরা। ঠিক কী কী দাবি তাঁরা সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন? জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিলের দাবি করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এছাড়া আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ বদলি চালু, অবিলম্বে গ্র্যাজুয়েট টিচারদের TGT স্কেল প্রদান, মাদ্রাসা শিক্ষা পোর্টাল চালু, স্কুল ও মাদ্রাসায় ঝাড়ুদার – নৈশপ্রহরী সহ সকল শূন্যপদে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ, লস্ট ইনক্রিমেন্ট এরিয়ার সহ সকল বকেয়া এরিয়ার প্রদান, সেকশান বার সহ মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফারের জটিলতা দূর, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের স্বাস্থ্যবীমা চালু ইত্যাদি একাধিক দাবি জানানো হয়েছে।
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে রাজ্য শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র জানান, “প্রায় ১ ঘন্টার বেশি কমিশনারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ে সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাকি বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উত্তর দিয়েছেন।” বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মীদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির উদ্যোগে এদিন মাদ্রাসা বোর্ডের দাবিদাওয়াও পেশ করা হয়। সাধারণ বিদ্যালয়গুলির মত মাদ্রাসা গুলিতে ও বাংলা পোটাল চালুর প্রতিশ্রুতি আদায় করা হয়েছে এই বৈঠকে।