ed
নিজস্ব প্রতিনিধি: পরপর দু’বার তলব করার পরেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে গিয়ে হাজিরা দেননি সন্দেশখালির বেপাত্তা তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান। উল্লেখ্য সন্দেশখালি কাণ্ডের পর ৩৫ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে। ঘটনার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট সিট গঠন করে দেওয়ার পরেও শাহজাহানের টিকি ছোঁওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে তাঁকে সল্টলেকের ইডি দফতরে এসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে তিনবার তলব করা হল তাঁকে। সূত্রের খবর এবারেও তিনি হাজিরা এড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে ইডি।
সন্দেশখালি মামলায় গত বুধবার দ্বিতীয়বার হাজিরা এড়িয়েছেন শেখ শাহজাহান। সেদিন সকাল এগারোটায় তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজির হননি তিনি। তবে সেদিন বিকেলে শাহজাহানের এক আইনজীবী ইডি দফতরে যান চিঠি জমা দিতে। কিন্তু ইডি সেই চিঠি জমা নেয়নি। বাইরে বেরিয়ে এসে ওই আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন,”ইডির রিসিভিং সেন্টারে একটি চিঠি জমা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেই চিঠি ওঁরা গ্রহণ করেননি।” সূত্রের খবর, হাজিরার ব্যাপারে আরও কিছুটা সময় চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল শাহজাহানের তরফ থেকে। কিন্তু তদন্তকারীরা শাহজাহানকে আর সময় দিতে চাইছিলেন না। তাই চিঠি জমা নেওয়া হয়নি। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার ফের ই-মেল মারফত শাহজাহানকে হাজিরার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আর এবারেও হাজিরা এড়ালে শেখ শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার রাস্তায় হাঁটতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সম্পত্তির ব্যাপারে তদন্তকারীরা খোঁজখবর চালাচ্ছেন বলে একটি সূত্রে খবর। ঘটনা হল বারাসত আদালতে শাহজাহানের আগাম জামিন মামলার শুনানি হবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। তবে কি সেই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল নেতা ইডি দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে চাইছেন না? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।
এই পরিস্থিতিতে শাহজাহান আগামী সপ্তাহেও ইডি দফতরে হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তকারীরা কী পদক্ষেপ করেন তা নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।