ed
কলকাতা: রেশন বন্টন মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে তাঁর বিপুল সম্পত্তির খতিয়ান৷ ইডি-র আধিকারিকরা আরও জানতে পেরেছেন, জ্যোতিপ্রিয়ের ‘সুপারিশ’-এ সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন তাঁরই বাড়ির পুরনো পরিচারক। শুধু তাই নয়, ‘দুর্নীতি’-র টাকা লেনদেন হয়েছে এমন এক সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন ওই পরিচারকের মা এবং স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার সাত সকালে বনমন্ত্রীর সল্টলেকের বাড়িতে হানা দেন ইডি-র একটি দল৷ প্রায় ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর আধিকারিকরা এই তথ্য জানতে পেরেছেন বলে দাবি৷
বালু (জ্যোতিপ্রিয়ের ডাক নাম)-র বাড়ির ওই পরিচারকের বয়ানও ইতিমধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, গত ১৭ বছর ধরে তিনি মন্ত্রীর বাড়িতে কর্মরত। বর্তমানে তিনি কৃষি দফতরের গ্রুপ ডি কর্মী। ওই পরিচারক আরও জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়ের ‘সুপারিশ’-এই তিনি ওই চাকরি পেয়েছিলেন। দাবি ইডি-র।
সূত্রের খবর, ওই পরিচারক নিজেই জানিয়েছেন, ‘দুর্নীতি’র টাকা লেনদেন করা হয়েছে, এমন একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে তাঁর স্ত্রী সুকন্যা দাস এবং মা মমতা দাসকে বহাল করেছিলেন বনমন্ত্রী। গত ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী-কন্যাকে তিনটি সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই তিনটি সংস্থার মাধ্যমে দুর্নীতির ‘কালো টাকা’ লেনদেন হয়েছে। যদিও তাঁরা তিন জনেই ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷