কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে একের পর এক নাম৷ এবার প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় ইডির চার্জশিটে উঠে এল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ আরও এক এজেন্টের নাম। ইডি জানিয়েছে, ওই এজেন্টের নাম সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়৷ বাড়ি বেহালায়। বিভিন্ন সময়ে তাঁর কাছে জমা পড়েছে নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইডির চার্জশিটে।
বেহালার ওই এজেন্টের কথা ইডিকে জানিয়েছেন নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে জেরা করেও উঠে এসেছে সন্তুর নাম৷ এই সন্তু আসলে কে? ইডির কাছে শান্তনু জানিয়েছেন, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ তুলেছিলেন অয়ন। সেই টাকা তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন হুগলির বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং এজেন্ট সন্তুকে৷ যাতে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাহায্যে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, ইডিকে দেওয়া বয়ানে শান্তনু আরও জানিয়েছেন, বেহালার সন্তু এবং হুগলির কুন্তল— দু’জনেই ছিলেন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’। অয়ন এবং পার্থের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন তাঁরাই। তাঁদের মাধ্যমেই পার্থের কাছে পৌঁছে যেত চাকরিপ্রার্থীদের অর্থ।
সোমবার নগর দায়রা আদালতে শান্তনু ও অয়ন-সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে শান্তনুর বয়ানের পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে অয়নের বক্তব্যও৷ জেরায় ইডির কাছে অয়ন স্বীকার করেছেন যে, পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তুর সঙ্গে যোগা ছিল তাঁর। অয়ন আরও জানিয়েছেন, ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের থেকে মোট ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন বিভিন্ন জেলার এজেন্টরা। সেই টাকা এসেছিল তাঁর হাতে৷ এর মধ্যে ২৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বেহালার এজেন্ট সন্তুকে দিয়েছিলেন তিনি। কুন্তলই তাঁকে বলেছিলেন ওই টাকা সন্তুর হাতে দিতে। অয়নের কথায়, এ ছাড়াও তিনি কুন্তলকে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এই সমস্ত টাকা কি সন্তুর হাত ঘুরে পার্থের কাছেই পৌঁছেছিল? চার্জশিটে অবশ্য তা স্পষ্ট করা হয়নি৷ শুধু লেখা আছে, চাকরিপ্রার্থীদের অর্থ পার্থ ‘ঘনিষ্ঠের’ কাছে পৌঁছেছিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>