ed
কলকাতা: রেশন দুর্নীতির গোপন তথ্য লুকিয়ে বন দফতরে? সেই সূত্র খুঁজতেই বনমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে গেলেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ সল্টলেকের অরণ্যভবনে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকে বন দফতরের অফিসে পৌঁছন ইডির তদন্তকারী অফিসারদের টিম। ওই দলে রয়েছেন ইডির ৬জন কর্তা। সরাসরি বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চেম্বারে ঢুকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন তাঁরা। বাইরে থেকে পুরো অফিস ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
১০ বছর খাদ্যমন্ত্রী থাকার পর ২০২২ সালে বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে৷ গত এক বছর এই অরণ্য ভবনের দফতরেই বসতেন তিনি৷ এই দফতরে রেশন বন্টন দুর্নীতির কোনও নথি বা তথ্য-প্রমাণ আছে কিনা, তারই খোঁজে এই হানা৷ সূত্র মারফৎ ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন অরণ্যভবন থেকেই জ্যোতিপ্রিয় খাদ্য দফতরের দুর্নীতি চালাচ্ছিলেন৷ মন্ত্রীর অফিসের ফাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অফিসে কারা কারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
দিন কয়েক আগেই রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দেয় ইডি৷ তাতে বলা হয় একশো-দুশো নয়, রেশন দুর্নীতির পরিমাণ ১০০০ কোটি ছাড়াতে পারে৷ সেই প্রমাণ খুঁজতেই এই হানা৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রেশন দুর্নীতিতে বাকিবুর একা নন, আরও অনেক চালকল, গমকল মালিকও নজরে রয়েছে৷
রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ম্যারাথন জেরার পর গত ২৬ অক্টোবর গভীর রাতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ি এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে রেশন দুর্নীতির একাধিক তথ্য খুলে পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ সে কথা আগেই আদালতে জানিয়েছিল ইডি৷ এই মামলায় সম্প্রতি যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের৷ চার্জশিটে ইডি-র দাবি, মন্ত্রীর হাত ধরেই সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকা গিয়েছিল বাকিবুর রহমানের সাজানো ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। বাকিবুর তাঁর সংস্থার ৫০ জন কর্মীকে কৃষক হিসাবে দেখিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট খোলেন। ধান কেনাবেচার নামে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের তহবিল থেকে ৪৫০ কোটি ৩১ লাখ টাকা পাঠানো হয় ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলিতে। যা আত্মসাৎ করেছিলেন বালু৷