ed
কলকাতা: গত ৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য। মাকে জামিন দেওয়া হয়েছে, তাঁকেও জামিন দেওয়া হোক৷ এই যুক্তিতে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জামিয়েছিলেন মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য৷ তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। বিনা প্রমাণে তাঁকে সাত মাস ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু, এদিন শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি৷
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানির সময় মানিক-পুত্রের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, কোভিড চলাকালীন অনলাইন ক্লাসের নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা লুঠ করার ছক কষেছিলেন শৌভিক৷ সেই লক্ষে গড়ে তোলা হয়েছিল অল বেঙ্গল টিচার ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি বেসরকারি শিক্ষক সংগঠন। ওই সংগঠনের মাথায় ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস মণ্ডল।
ইডির দাবি, মানিক এবং তাপসের হয়ে গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন শৌভিক। ক্লাস পিছু ছাত্রদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিতেন তাঁরা! এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সামনে রেখে বেআইনিভাবে লক্ষা লক্ষা টাকা টাকা বাজার থেকে তোলা হয়েছে৷ বেসরকারি শিক্ষক সংগঠন অল বেঙ্গল টিচার ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যোগ কতখানি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। একই সঙ্গে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মানিক পুত্রের জামিনের আবেদনের শুনানি। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷