ed officers
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু গত মে মাসে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন৷ অগাস্ট মাসে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। তার পর প্রায় দু’মাস অতিক্রান্ত। অথচ এখনও হাসপাতালেই ভর্তি সুজয়৷ হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য এত দিন ধরে হাসপাতালে? অস্ত্রোপচারের পরও কিসের অসুখ? জবাব খুঁজতে আচমকা হাসপাতালে হানা দিলেন ইডির কর্তারা।
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করার পর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি৷ সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় জেলে। কিন্তু সুজয় জেলবন্দী হওয়ার পর আর একদিনও তাঁকে জেরা করতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। প্রথম যেদিন সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা, ঘটনাচক্রে সেদিনই মৃত্যু হয় সুজয়ের স্ত্রী-র। ফলে আর জেরা করা সম্ভব হয়নি। তার পর দীর্ঘদিন প্যারোল ছিলেন কালীঘাটের কাকু৷ প্যারোলের মেয়াদ শেষ হতেই হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে সুজয়ের৷ তার পর অস্ত্রোপচার৷
এদেকে ইডির উপরেও চাপ বাড়াচ্ছে আদালত৷ দ্রুত নিয়োগ মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে ইডিকে। এরপর লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত মামলাতেও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। যেই মামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে সুজয়েরও। কারণ তিনি ওই সংস্থার প্রাক্তন কর্মী। এই পরিস্থিতিতে দুর্গা পুজোর তৃতীয়ার দিন আচমকাই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি টিম। সূত্রের খবর, চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাঁরা সুজয়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। গত দু’মাস ধরে হাসপাতালে ঠিক কী কী চিকিৎসা করা হয়েছে বা এখনও কী চিকিৎসা করা হচ্ছে সেবিষয়েও বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন৷