কলকাতা: গরু পাচার কাণ্ডে প্রায় এক বছর ধরে জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ বর্তমানে তাঁর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল৷ জেলে বসেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোটের জয় উপভোগ করেছেন তিনি৷ এক সময় কেষ্ট ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা৷ তাঁর ইশারায় এক ঘাটে জল খেত বাঘে-গরুতে৷ সেই অনুব্রতর কবে জেল মুক্তি ঘটবে, তার উত্তর নেই খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতির কাছেই। উল্টে তাঁর সামনে এখন নয়া বিপদ৷ আরও এক দুর্নীতিতে সামনে আসতে পারে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার নাম। সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন কেষ্ট৷ এই বিষয়েই অনুব্রতকে জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রের খবর।
এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে রয়েছে শুনানি৷ আদালত ইডি-র আবেদনে সাড়া দিলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা তিহাড় জেলে বন্দি নেতার বয়ান রেকর্ড করতে পারবেন। সেই সময়ই অনুব্রতর কাছে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে৷
বারবার জামিনের আবেদন জানিয়েও খালি হাতেই ফিরেছেন অনুব্রত। আসানসোল জেলে ফেরানোর আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি৷ মামলার শুনানি চলার সময় ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা অনুব্রতকে বলেছিলেন, আগামী কয়েক বছরের জন্য দিল্লিকেই ঘর-বাড়ি বানিয়ে ফেলুন। গরু পাচার মামলার নিষ্কৃতি হওয়ার আগে আরও এক দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়চে চলেছেন কেষ্ট। তবে ইডি-র কাছে এই অভিযোগের কোনও সূত্র আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহার মতো নেতারা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রতিটি ধাপে টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে গত এক বছরে কখনও অনুব্রতর নাম জড়ায়নি৷ এতদিন পর কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে এমন কী তথ্য উঠে এল? তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়৷